পাঞ্চেত জলাধারে সোলার প্রজেক্ট বাতিল ও সেতু তৈরির দাবি জানানো হল সাংসদকে
বর্তমান | ১৮ জানুয়ারি ২০২৫
সংবাদদাতা, রঘুনাথপুর: নিতুড়িয়া ব্লকের বাথানবাড়ি ঘাটের উপর স্থায়ী সেতু নির্মাণ করতে হবে। পাশাপাশি মৎস্যজীবীদের জীবন-জীবিকার কথা ভেবে পাঞ্চেত জলাধারের মহেশ নদের উপর ডিভিসির প্রস্তাবিত ভাসমান সোলার প্রজেক্ট বাতিল করতে হবে। সেতু নির্মাণ ও মৎস্যজীবী জীবন-জীবিকা রক্ষা কমিটির তরফ থেকে বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অরূপ চক্রবর্তীকে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার সাংসদ রঘুনাথপুর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি বৈঠকে যোগ দিতে এসেছিলেন। বৈঠক শেষে ওইদিন রাতে সংগঠনের সদস্যরা তাঁর হাতে দাবিপত্র তুলে দেন। পাশাপাশি সাংসদকে এই আন্দোলনে শামিল হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
অরূপবাবু বলেন, রাজ্য সরকারের পক্ষে ১০০ কোটি টাকা খরচ করে সেতু তৈরি করা সম্ভব নয়। তাই ডিভিসি কর্তৃপক্ষকে সেতু তৈরির জন্য অর্ধেক টাকা দেওয়ার জন্য জানানো হয়েছে। পাশাপাশি মৎস্যজীবীদের মাছ ধরার ক্ষেত্রে যাতে কোনও সমস্যা না হয় তাও দেখতে বলা হয়েছে। এই সমস্যা সমাধানে এলাকার মৎস্যজীবীদের নিয়ে জেলা প্রশাসন, মৎস্যদপ্তর ও ডিভিসি কর্তৃপক্ষ যাতে বৈঠক করে তাও জানানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে ডিভিসি কর্তৃপক্ষ পাঞ্চেত জলাধারের মহেশ নদের উপর ৭৫ মেগাওয়াট ভাসমান সোলার প্রজেক্ট নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাসিন্দাদের আশঙ্কা, জলাধারের উপর সোলার প্রজেক্ট হলে নদীর দুই পাড়ের কয়েক হাজার মৎস্যজীবীর জীবন-জীবিকা সঙ্কটে পড়বে। শুধু তাই নয়, নদে নৌকা চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে রায়বাঁধ ও গুনিয়াড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় ৫২টির বেশি গ্রাম ব্লক সদর, থানা সদর সহ অন্যান্য সরকারি দপ্তর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।
সংগঠনের সভাপতি রাজেন টুডু বলেন, ডিভিসির জন্য এলাকার মানুষ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এলাকার মানুষের জন্য ডিভিসির সামাজিক উন্নয়নে যে দায়বদ্ধতা থাকার কথা তা কখনোই দেখা যায়নি। জলাধারের উপর নির্ভর করে যে ক’টি পরিবার বেঁচে রয়েছে প্রজেক্ট হলে তাঁরা পথে বসবে। তাই সাংসদকে আমাদের অসুবিধার কথা জানানো হয়েছে। তিনি বিষয়গুলি নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন। আগামী ২০ জানুয়ারি এলাকার মানুষকে নিয়ে প্রজেক্টের বিরুদ্ধে জনসভা করা হবে।