• একাধিক চালক দিয়ে ‘বাইক হস্তান্তর’ করে চলছে পাচার, সীমান্তে নয়া কৌশলে নজর  বিএসএফের
    বর্তমান | ১৮ জানুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: সোনা, রুপো থেকে ফেনসিডিল। বাইকে করে বাংলাদেশ সীমান্তে চোরাই সামগ্রী পাচার নতুন কিছু নয়। কিন্তু, এখন নতুন কৌশল করেছে পাচারকারীরা। চলছে শুধু ‘বাইক হস্তান্তর’। আগে থেকেই সেই বাইকে লুকিয়ে রাখা হচ্ছে পাচারের সামগ্রী। তারপর সেই বাইক একাধিক চালকের হাত ঘুরে চলে যাচ্ছে বংলাদেশে। এক একজন চালক সীমান্ত এলাকায় কিছুটা রাস্তা পার করে অন্যজনের হাতে তুলে দিচ্ছে বাইক। বিনিময়ে মিলছে কমিশন। সম্প্রতি, উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরে রুপো পাচারের ঘটনার কিনারা করতে গিয়ে এই তথ্য জানতে পেরেছে বিএসএফ। হস্তান্তর হওয়া বাইক নিয়ে যাওয়ার সময় এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে তারা। তারপরই এই কৌশলের কথা সামনে এসেছে। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৮ ডিসেম্বর স্বরূপনগরের হাকিমপুর চেক পোস্টে এক সন্দেহভাজনক বাইক চালককে আটক করে বিএসএফ। প্রথমে তার কাছ থেকে কিছু পাওয়া যায়নি। পরে বাইক তল্লাশি করে দেখা যায়, এয়ারফিল্টার এবং ব্যাক লাইটের ভিতরে রুপোর গয়না লুকিয়ে রাখা হয়েছে। সেখান থেকে প্রায় সাড়ে ৮ কেজি রুপোর গয়না উদ্ধার হয়। তারপর ওই বাইক চালককে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই গয়না বাংলাদেশে পাচারের ছক ছিল। জেরায় যুবক বিএসএফকে জানিয়েছে, স্বরূপনগরের বিথারি বাজারের সামনে এক অপরিচিত ব্যক্তি তাকে এই বাইক দিয়ে বলেছিল, এতে কিছু রুপোর গয়না রয়েছে। বিএসএফের বর্ডার লাইন টপকানোর পর অন্য একজনকে এই বাইক হস্তান্তর করার কথা ছিল। এই কাজের জন্য কমিশন বাবদ তার ১৩০০ টাকা পাওয়ার কথা ছিল।


    প্রসঙ্গত, বাইকের এয়ারফিল্টার, ট্যাঙ্কের ভিতর লুকিয়ে বহুদিন ধরেই পাচারের কাজ চলছে। এমনকী, টোটোর ছাদে লুকিয়েও পাচারের ঘটনা সামনে এসেছে। কিন্তু, প্রতিবারই পাচারকারীরা বাইকে করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় মালপত্র পৌঁছে দিত। কিন্তু, বাইক হস্তান্তর করত না। এই প্রথম বাইক হস্তান্তরের ঘটনা সামনে এল! এখন প্রতিটি বাইকের উপর নজরদারি শুরু হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)