নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত ও সংবাদদাতা, কল্যাণী: উত্তর ২৪ পরগনা এবং নদীয়ার দু’জায়গায় চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে দু’জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। চাকদহে ক্যাটারিংয়ের কাজ করতে যাওয়ার পথে ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়। মধ্যমগ্রামেও ট্রেন থেকে পড়ে এক আচার বিক্রেতার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকালে বারাসত-শিয়ালদহ শাখার মধ্যমগ্ৰাম স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় চলন্ত ট্রেন পড়ে মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়ের। মৃতের নাম সমীর সাহা (৫৫)। বাড়ি দেগঙ্গার বেড়াচাঁপার অম্বিকানগরে। জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো শুক্রবার সকালে ৯.২২ মিনিটে ভাসলিয়া স্টেশন থেকে হাসনাবাদ-মাঝেরহাট ট্রেন ধরে মধ্যমগ্ৰামে আসেন সমীরবাবু। তিনি আচার বিক্রেতা। মধ্যমগ্ৰাম এলাকায় দীর্ঘ ১০ বছর ধরে আচার বিক্রি করছেন তিনি। রাতে বাড়ি ফিরতেন। এদিন সকালে বাড়ি থেকে বের হন তিনি। দুপুরে তাঁর ফোন থেকেই কেউ বাড়িতে ফোন করে মৃত্যুর কথা জানান। মৃত সমীর সাহার স্ত্রী তন্দ্রা সাহা বলেন, পেটের টানে স্বামী সকালে বাড়ি থেকে আচার বিক্রি করতে যেতেন, রাতে ফিরতেন। এবার কীভাবে সংসার চলবে, বুঝতে পারছি না।
বৃহস্পতিবার রাতে চাকদহের ৫২ নম্বর রেলগেটের কাছে এক যুবককে রেল লাইনের ধারে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে রেল পুলিস ঘটনাস্থল থেকে ওই যুবককে উদ্ধার করে চাকদহ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা ওই যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেন। জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম সরিফুল শেখ (১৯)। তাঁর বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে। শুক্রবার সরিফুলের মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কল্যাণী মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে রেল পুলিস। ওই যুবকের সহকর্মী হাফিজুল গাজি বলেন, আমরা রাতে নবদ্বীপে যাওয়ার জন্য শিয়ালদহ থেকে কৃষ্ণনগর লোকালে উঠি। ১৪ জন নবদ্বীপে ক্যাটারিংয়ের কাজ করতে যাচ্ছিলাম। কিন্তু চাকদহ স্টেশন ছাড়ার পরেই ৫২ নম্বর রেলগেটের কাছে কোনওভাবে ট্রেন থেকে পড়ে যায় শরিফুল। রেল পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।