• 'ওনার ভোটব্যাঙ্কের ওপরে থাবা পড়েছে, মমতার বিরুদ্ধে গিয়ে এনকাউন্টার করেছে পুলিশ'
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৮ জানুয়ারি ২০২৫
  • ভোটব্যাঙ্কে প্রভাব পড়ার অশঙ্কায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাননি, পুলিশের চাপে দুষ্কৃতী সাজ্জাক আলমের এনকাউন্টারে সম্মতি দিতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। শনিবার সকালে নিজের বাড়িতে বসে এমনই দাবি করলেন বিজেপি নেতা অর্জুন সিং। তিনি বলেন, এবারে পুলিশ পদক্ষেপ না করলে বাহিনীর মনোবল ভেঙে যেত।

    এদিন অর্জুন সিং বলেন, ‘এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাননি। পুলিশের শিরদাঁড়া ভেঙে গেছিল বলে এনকাউন্টার করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে এনকাউন্টার করেছে পুলিশ। এটা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খুব খুশি হবেন না। কারণ ওনার ভোটব্যাঙ্কের ওপরে থাবা পড়েছে। কিন্তু পুলিশ শুধু নিজের গায়ে হাত পড়লেই এনকাউন্টার করবে এটা ঠিক নয়। সাধারণ মানুষের জীবন বিপন্ন হলেও পুলিশের এরকম পদক্ষেপ করা উচিত।’

    শনিবার ভোরে উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরে ভারত - বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে সাজ্জাক আলম নামে এক দুষ্কৃতীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় পুলিশ। গত বুধবার ইসলামপুর আদালত থেকে রায়গঞ্জ জেলে ফেরার সময় ২ পুলিশকর্মীকে গুলি করে পালিয়েছিল সে। তার পর তার সন্ধান দিতে পারলে ২ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল পুলিশ।

    পুলিশের দাবি, সাজ্জাক যে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পালানোর চেষ্টা করবে তা আগে থেকেই জানত তারা। সেই মতো বিভিন্ন জায়গায় নজরদারির ব্যবস্থা হয়েছিল। শনিবার ভোরে কুয়াশার সুযোগ নিয়ে সীমান্ত পার করতে যাচ্ছিল সাজ্জাক। তখন তাকে আত্মসমর্পণের প্রস্তাব দেয় পুলিশ। উলটে পুলিশকে লক্ষ্য করে ফের গুলি চালায় সাজ্জাক। পালটা গুলি চালান পুলিশ আধিকারিকরা। গুলি লাগে সাজ্জাকের পেয়ে ও পায়ে। এর পর ইসলামপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। পুলিশ ৩ - ৪ রাউন্ড গুলি চালিয়েছে বলে সূত্রের খবর।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)