আগেও মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন, আরজি কর মামলার রায় দেবেন সেই বিচারক দাস, রইল তাঁর পরিচয়
হিন্দুস্তান টাইমস | ১৮ জানুয়ারি ২০২৫
সঞ্জয় রায়ই কি ধর্ষক এবং খুনি? আজ দুপুরে শিয়ালদা আদালতে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের মামলার রায়দান করা হবে। আর যাঁর হাতে আরজি কর মামলার বিধান লেখা হবে, তিনি হলেন শিয়ালদা আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক অনির্বাণ দাস। গত ৪ নভেম্বর চার্জ গঠনের পরে ১১ নভেম্বর থেকে তাঁর এজলাসেই আরজি কর মামলার শুনানি চলেছে। ৬৬ দিনের বিচারপ্রক্রিয়ায় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের আইনজীবী, নির্যাতিতা চিকিৎসকের আইনজীবী, মূল অভিযুক্ত সঞ্জয়ের আইনজীবী, সাক্ষ্যদের বক্তব্য শুনেছেন। আর সেইসব সওয়াল, পালটা সওয়াল, প্রমাণ এবং সাক্ষ্যের ভিত্তিতে আজ রায়দান করবেন বিচারক দাস।
১) ১৯৯৫ সালে বিচারক দাস বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি পাশ করেছিলেন। কর্মজীবনের শুরুটা কেটেছিল মুর্শিদাবাদে।
২) কৃষ্ণনগরে সিভিল জজ ছিলেন বিচারক দাস।
৩) বিধাননগরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট, অতিরিক্ত জেলা জজের মতো দায়িত্ব পালন করেছেন বিচারক দাস। কর্মরত ছিলেন পুরুলিয়ায়।
৪) বিচারক দাস শিয়ালদা আদালতে এসেছেন বছরদুয়েক আগে। আপাতত তিনি শিয়ালদা আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক হিসেবে কর্মরত আছেন। সেই পদে থেকেই আজ তিনি আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের মামলার রায়দান করবেন।
৫) সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, যে আদালতে মাদক মামলার শুনানি হয়, সেই এনডিপিএস আদালতেও বিচারক ছিলেন। এনডিপিএস আদালতের বিচারক হিসেবে ফাঁসির সাজা দিয়েছিলেন।
এমনিতে আরজি করের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনাকে বিরল থেকে বিরলতম হিসেবে চিহ্নিত করে মূল অভিযুক্ত সঞ্জয়ের সর্বোচ্চ শাস্তিই চেয়েছেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। আবার সঞ্জয়ের আইনজীবী সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন যে তাঁর মক্কেলকে ফাঁসানো হচ্ছে। তদন্তের একাধিক জায়গায় ফাঁক আছে। ঘটনার পরে পুরো বিষয়টি সাজানো হতে পারে বলেও দাবি করেন ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের আইনজীবী।
নির্যাতিতার পরিবারের তরফে অবশ্য দাবি করা হয়েছে যে মেয়ের ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় সঞ্জয় দোষী। কিন্তু সঞ্জয় একা দোষী নয়। ওই ঘটনায় আরও অনেকে যুক্ত বলে দাবি করেছেন নির্যাতিতার বাবা-মা। শিয়ালদা আদালতে রায়দানের আগেও তাঁরা দাবি করেছেন, তদন্ত এখনও অর্ধেক হয়েছে। মেয়ের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় আরও যারা অপরাধী আছে, তারা বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারাও যতদিন না শাস্তি পাচ্ছে, ততদিন মেয়ে ন্যায়বিচার পাবেন না বলে দাবি করেছেন বাবা-মা।
সেইসঙ্গে সঞ্জয়ের ফাঁসি চান কিনা, সেই প্রশ্নের জবাবে নির্যাতিতার মা বলেছেন, 'আমি অপরাধীর সাজা চাই। যা সিদ্ধান্ত নেবে, আদালত নেবে।' পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, বিচারব্যবস্থার উপরে পুরোপুরি আস্থা আছে। আর শনিবার যখন রায়দান করা হবে, তখন আদালতকক্ষে উপস্থিত থাকবেন।