আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় শনিবার রায়দান করল শিয়ালদহ আদালত। এই ঘটনায় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করলেন বিচারক অনির্বাণ দাস।
গত বছর ৯ অগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সেমিনার রুমে উদ্ধার হয়েছিল এক তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ। তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল। ঘটনার পরেই দিনেই কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেপ্তার করেছিল লালবাজার।
১৩ অগস্ট সিবিআই-কে এই মামলার তদন্তভার দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। পরে ১৮ অগস্ট স্বতঃপ্রণোদিতভাবে এই মামলা শোনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই সময়েই আরজি করের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। গত ২ সেপ্টেম্বর আরজি কর হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-এর হাতে গ্রেপ্তার হন সন্দীপ ঘোষ।
এরপরে ১৪ সেপ্টেম্বর সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে আরজি করের চিকিৎসকের খুনের ঘটনায় এফআইআর করতে দেরি করা এবং প্রমাণ লোপাটের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। সুবিচার চেয়ে রাজ্যজুড়ে আন্দোলন করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। অনশনও করেন অনেকেই। পরে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা বলার পর এবং চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত হওয়ার আশ্বাস পাওয়ার পরে তাঁরা অনশন প্রত্যাহার করে। ইতিমধ্যেই খুন ও ধর্ষণ মামলায় জামিন পেয়েছেন সন্দীপ এবং অভিজিৎ। তবে সন্দীপ ঘোষ দুর্নীতির মামলায় জামিন না পাওয়ায় তিনি রয়েছেন জেলেই।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন প্রমাণের ভিত্তিতে গত ৭ অক্টোবর শিয়ালদহ আদালতে সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে তারা চার্জশিট জমা দেয়। ৪ নভেম্বর অভিযুক্ত এই সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে গঠন হয় চার্জ। ১১ নভেম্বর থেকে শুনানি শুরু হয়। যদিও সঞ্জয় আদালতে তোলার সময় দাবি করেছিলেন, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। এ বার শনিবার সেই মামলার রায় দিল শিয়ালদহ আদালত।