• পুলিশের পাল্টা গুলিতেই মৃত্যু সাজ্জাকের: রাজ্য পুলিশ
    এই সময় | ১৮ জানুয়ারি ২০২৫
  • পুলিশকে গুলি করে পালানো দুষ্কৃতী সাজ্জাক আলমের মৃত্যু কী ভাবে হয়েছে? সেই মুহূর্তে ঠিক কী হয়েছিল? ভবানীভবনে সাংবাদিক বৈঠকে সেটাই জানালেন রাজ্য পুলিশের এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) জাভেদ শামিম।

    এ দিন গোয়ালপোখরে ওই ঘটনায় একাধিক গুলি চলেছে বলে জানিয়েছে রাজ্য পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, সকাল ৭টা নাগাদ সাজ্জাককে স্পট করা হয়। তাকে ধরতে যায় পুলিশ। কিন্তু পুলিশকে তাক করে প্রথমে গুলি ছোড়ে সাজ্জাক। সাজ্জাক প্রায় ৩-৪ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। তার পরেই পুলিশ পাল্টা গুলি চালিয়েছে। সাজ্জাক গুলিবিদ্ধ হয়। তার পরেই জখম অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এ দিনের ঘটনায় কোনও পুলিশ জখম হননি বলে জানিয়েছে রাজ্য পুলিশ। এ দিন যেখানে এই ঘটনাটি ঘটেছে, সেটা গোয়ালপোখর থানা এলাকার মধ্যে পড়ে। বাংলাদেশের সীমান্তের খুবই কাছে ওই এলাকা।

    রাজ্য পুলিশের এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) জাভেদ শামিম বলেন, ‘প্রফেশনালি’ অপারেশন হয়েছে। ঠিক কত রাউন্ড গুলি চলেছে, তা আরও খতিয়ে দেখে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। আপাতত পুলিশ জানিয়েছে, চিকিৎসকেরা বলেছেন সাজ্জাকের গায়ে তিনটি গুলির চিহ্ন মিলেছে। কাঁধের কাছে, পায়ে এবং পিঠে গুলির চিহ্ন মিলেছে বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। সাজ্জাক যে বন্দুক থেকে শনিবার গুলি চালিয়েছে, সেই বন্দুক থেকেই বুধবার জেলের সামনে পুলিশকে গুলি চালিয়েছিল কি না, সেটা এখনও স্পষ্ট করেনি পুলিশ। সেই বিষয়টির জন্য তদন্ত চলছে।

    গত বুধবার ইসলামপুর মহকুমা আদালত থেকে প্রিজন ভ্যানে জেলে নিয়ে যাওয়ার সময়ে খুনের মামলায় অভিযুক্ত সাজ্জাক পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। প্রস্রাব করার নাম করে রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে সে গুলি চালায়। গুলিতে জখম হন রায়গঞ্জ থানার অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর নীলকান্ত সরকার ও কনস্টেবল দেবেন বৈশ্য। তারপর থেকেই সাজ্জাকের খোঁজ করছে পুলিশ।

  • Link to this news (এই সময়)