আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা, রায় ঘোষণা হবে আরজি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণের পরে খুনের মামলার। শিয়ালদহ আদালত চত্বর কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। রায় ঘোষণার দিন আদালতে যাওয়ার আগে ‘লড়াই চালিয়ে যাওয়া’-র বার্তা শোনা গেল নির্যাতিতার মায়ের কণ্ঠে।
শনিবার তিনি বলেন, ‘আমি সবকিছুই হারিয়েছি। নতুন করে চাওয়ার বা পাওয়ার কিছু নেই।’ একই সুর নির্যাতিতার বাবার কণ্ঠেও। তিনি বলেছিলেন, ‘এই যুদ্ধের শেষ পরিণতি দেখেই ছাড়ব। ঘটনায় যুক্ত সকলের শাস্তি হলেই মেয়েটার আত্মার শান্তি হবে।’ নির্যাতিতার মায়ের কথায়, ‘আমার পরিবার এখন অনেক বড়। সকলেই পাশে রয়েছেন। বিচারক যা মনে করবেন, সেই রায় দেবেন। এই ঘটনায় আরও কারা জড়িত, তা খতিয়ে দেখছে সিবিআই।’ একই কথা শোনা যায় নির্যাতিতার বাবার কণ্ঠেও।
নির্যাতিতার মা এ দিন ফের দাবি করেন, ‘শুধু সঞ্জয় নয়, এই ঘটনায় নেপথ্যে আরও অনেকে জড়িত রয়েছে। তারাও ধরা পড়বে, শাস্তি হবে তাদের।’
এ দিন শিয়ালদহ আদালত চত্বর মোড়া কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থায়। শনিবার দুপুর আড়াইটার সময়ে শিয়ালদহ আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাসের এজলাস বসতে চলেছে। সেখানেই আরজি কর মামলার রায় ঘোষণা হওয়ার কথা। সিবিআই-এর আইনজীবী পার্থসারথি দত্ত জানিয়েছিলেন, বিচার দুই মাসের মধ্যে শেষ করা হয়েছে। যদি অভিযুক্তের সর্বোচ্চ সাজা হয় তাহলে মনে করব জাস্টিস দিতে পেরেছি। যদিও সঞ্জয়ের আইনজীবী সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সর্বোচ্চ সাজা হলে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, গত বছর ৯ অগস্ট আরজি করে এক তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল তাঁকে, এই অভিযোগ উঠেছিল। ঘটনায় কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।