• মেদিনীপুর মেডিক্যালের আরও এক জুনিয়র চিকিৎসক সাসপেন্ড
    এই সময় | ১৮ জানুয়ারি ২০২৫
  • মেদিনীপুর মেডিক্যালে স্যালাইন কাণ্ডে সাসপেন্ডেড চিকিৎসকের সংখ্যা ১২ থেকে বেড়ে ১৩ হলো। সুশান্ত মণ্ডল নামে আরও একজন পিজিটিকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সুশান্ত মণ্ডল নামে হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের ওই দ্বিতীয় বর্ষের পিজিটি-র কাছে শুক্রবার রাতে সাসপেনশন অর্ডার পৌঁছয় বলে জানা গিয়েছে। বাকি ৬ জন পিজিটি-র কাছেও শুক্রবার রাতে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের সাসপেনশন অর্ডার এসে পৌঁছেছে।

    মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ কাউন্সিলের সব সদস্য, এমনকী জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, রাজ্যের সমস্ত আধিকারিককে ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। অর্থাৎ, এ দিন থেকে জেলা এবং রাজ্যের যে সব আধিকারিক মেডিক্যালে যাবেন, তাঁদের ঘেরাও করা হবে।

    এ দিন সুপার ইন্দ্রনীল সেনকে ঘেরাও করে নিজেদের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। পড়ুয়াদের দাবি, সুপার ছাড়া এই প্রতিষ্ঠানে তাঁদের আর কোনও অভিভাবক নেই। তাঁদের আরও বক্তব্য, তাঁদের কোনও দোষ বা গাফিলতি ছিল না। স্যালাইনেই গোলমাল ছিল বলে দাবি তাঁদের। তাই অবিলম্বে সাসপেনশন তোলার পাশাপাশি এফআইআর প্রত্যাহারেরও দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। সুপার ইন্দ্রনীল সেন বলেন, ‘অর্ডারটা দেখেছি। পুরো বিষয়টা নিয়েই আমরা স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশ মেনে চলব।’

    অন্য দিকে এ দিন মেদিনীপুর মেডিক্যালে যান জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদার। জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। বলেন, ‘পিজিটি-সহ অন্য চিকিৎসকদের কোনও দোষ নেই। পুরোটাই কালো তালিকাভুক্ত সংস্থার স্যালাইন বা ফ্লুইডের জন্য হয়েছে। রাজ্য সরকারের পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থাই ভেঙে পড়েছে। আমি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রককে পুরো বিষয়টাই জানাব।’

  • Link to this news (এই সময়)