এই সময়, কালনা: তপসিলি জাতি ও উপজাতি ছাত্রছাত্রীদের বিনামূল্যে জয়েন্ট এন্ট্রান্স ও নিট পরীক্ষার প্রশিক্ষণের জন্য রয়েছে রাজ্য সরকারের যোগ্যশ্রী প্রকল্প। প্রশিক্ষণের সঙ্গে রয়েছে প্রতি মাসে স্টাইপেন্ডের ব্যবস্থাও। এ বার তাঁদের সঙ্গে এই সুযোগ পেতে চলেছেন জেনারেল, ওবিসি ও সংখ্যালঘু ছেলেমেয়েরাও।
শুক্রবার কালনার মহারাজা হাই স্কুলে চালু হলো মোটিভেশনাল সেশন। সেখানেই সরকারি সিদ্ধান্তের কথা জানান, যোগ্যশ্রী প্রকল্পের রাজ্য কো–অর্ডিনেটর অমিতকুমার কর। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, প্রশিক্ষণের পাঁচ মাসের স্টাইপেন্ডের টাকাও পাঠানো হয়েছে ছাত্রছাত্রীদের অ্যাকউন্টে।
এ দিন কালনা মহারাজা স্কুলের যোগ্যশ্রী সেন্টারে ছাত্রছাত্রীদের মোটিভেশনাল স্পিচ দেন মৃণাল সরকার। প্রকল্পের রাজ্য কো–অর্ডিনেটর বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি ছাত্রছাত্রীদের বাড়তি কিছু দেওয়ার, যাতে পরীক্ষার আগে দৃঢ়তা বাড়ে। মানসিক চাপ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য মোটিভেশনাল সেশন শুরু করা হলো আজ থেকে। এই প্রকল্প দেখে সাধারণ, ওবিসি, সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীদের বক্তব্য, তাঁরা কেন এই প্রশিক্ষণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এটা নিয়েও ভেবেছে সরকার।’
তিনি জানান, প্রশিক্ষণের বাইরে ছাত্রছাত্রীদের প্রতি মাসে ৩০০ টাকা করে স্টাইপেন্ড দেওয়া হয়। পাঁচ মাসের সেই টাকা পাঠানো হয়েছে। শিগগিরই অ্যাকাউন্টে ওই টাকা ঢুকে যাবে। তিনি বলেন, ‘ছাত্রছাত্রীদের বলছি, প্রশিক্ষণের অনলাইন ক্লাস অ্যাটেন্ড করবে। এ ছাড়া নিট বা জয়েন্টে র্যাঙ্ক করার পরেও আরও কিছু বিষয় জানা দরকার। কাউন্সেলিং একটা প্রয়োজনীয় পার্ট। কাউন্সেলিং সেপ্টেম্বর, অক্টোবর পর্যন্ত চলে।’
প্রকল্প কো–অর্ডিনেটর জানান, মার্চ মাসে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৫০ জনকে নির্বাচিত করে আদিবাসী ভবনে ১৫ দিনের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সেখানে খাওয়া, থাকার ব্যবস্থাও থাকবে। কালনা মহারাজা হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রঘুনাথ মণ্ডল বলেন, ‘মাস আটেক আগে পূর্ব বর্ধমান জেলার দুটো স্কুলে এই প্রকল্পের সেন্টার চালু হয়েছিল। তার মধ্যে আমাদের স্কুল একটি। শুরুর সময়ে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছিলাম।’
মোটিভেটর মৃনাল চক্রবর্তী বলেন, ‘মন দিয়ে পড়ার সময়ে কোনও কারণে ২ সেকেন্ডের জন্য অন্যমনস্ক হলেও আগের অবস্থায় ফিরতে ২০ মিনিট লেগে যায়। ফলে সেটা মাথায় রাখলে উপকার পাওয়া যাবে।’ যোগ্যশ্রী প্রকল্পে এই কেন্দ্রের প্রশিক্ষক তাপস কার্ফা জানাচ্ছেন, একাদশের ৪০ ও দ্বাদশ শ্রেণির ৪০ বিভিন্ন স্কুলের মোট ৮০ পড়ুয়াকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ক্লাস হয় প্রতি শনি ও রবিবার।