• 'দোষ করলে রুদ্রাক্ষের মালা ছিঁড়ে পড়ে থাকত,' রায় শুনে প্রতিক্রিয়া 'দোষী' সঞ্জয়ের
    এই সময় | ১৮ জানুয়ারি ২০২৫
  • আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়। শনিবার শিয়ালদহ আদালতে তাকে দোষী সাব্যস্ত করার পরেই তীব্র প্রতিবাদ জানায় সঞ্জয়। আর জি কর হাসপাতালে মহিলা ডাক্তারকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা তার কোনও হাত নেই বলে দাবি সঞ্জয়ের।

    বিচারকের সামনে সঞ্জয় বলে, ‘আমার গলায় রুদ্রাক্ষের মালা আছে। যদি আমি দোষ করতাম তাহলে ওই মালা ছিঁড়ে ওখানে পড়ে থাকত। আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।’ এর পরেই বিচারক বলেন, ‘তদন্তকারীরা সব প্রমাণ দিতে পেরেছে। আমি তাই দোষী সাব্যস্ত করেছি। আপনার কথা সোমবার শুনব। আপনাকে শাস্তি পেতে হবে। কী শাস্তি হবে সেই দিন বলবো। ওকে নিয়ে যান।’ কিন্তু তাতেও থামেনি সঞ্জয়। সে বলতে থাকে, ‘কথা বলতে চাই। এ কাজ আমি করিনি। যারা করেছে, তাদের কেন ছাড়া হচ্ছে? বড় আইপিএস আছে সেও বলেছে। আমাকে বলতে দিন।’ তখন বিচারক জানান তিনি সোমবার শুনবেন।

    সিবিআই যে চার্জশিট জমা দিয়েছিল, চার্জ ফ্রেম হয়েছিল। সবকটাতেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছে সঞ্জয়, জানিয়েছেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। সোমবার বেলা সাড়ে বারোটায় সাজাঘোষণা করা হবে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা অনুযায়ী ৬৪, ৬৭ এবং ১০৩(১) ধারায় সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।

    এ দিন সঞ্জয় রায়কে দোষী সাবস্ত্য করার পরেই আদালতে কান্নায় ভেঙে পড়েন নির্যাতিতা ডাক্তারের বাবা। বিচারক নেমে চলে যাচ্ছিলেন, কান্না শুনে তিনি ফের উঠে আসেন। নির্যাতিতার বাবা বিচারককে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আপনি পূর্ণ মর্যাদা দিয়েছেন। আপনার উপর ভরসা রেখেছিলাম। পূর্ণ মর্যাদা দিয়েছেন।’

  • Link to this news (এই সময়)