আরজি করের তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে পথে নেমে প্রতিবাদ করেছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। শনিবার ৫ মাস পরে এই ঘটনায় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করল শিয়ালদহ আদালত। এই রায়ের পর কী বলছেন আন্দোলনকারী সেই জুনিয়র চিকিৎসকরা?
এ দিন রায় ঘোষণার পরে আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের সংগঠন ‘জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট’-এর অন্যতম মুখ অনিকেত মাহাতো বলেন, ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্র ছিল। একাধিক প্রশ্ন রয়েই গেল।’
যদিও রায় শুনে চোখে জল নির্যাতিতার বাবার। তিনি রায় ঘোষণার পরে বিচারককে উদ্দেশ করে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আপনার উপর ভরসা রেখেছিলাম। পূর্ণ মর্যাদা দিয়েছেন।’
উল্লেখ্য, আরজি করে কর্তব্যরত অবস্থায় তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও মৃত্যুর ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা দেশকে। পথে নেমে ন্যায় বিচার চেয়েছিলেন সমাজের সমস্ত স্তরের মানুষজন। ‘রাত দখল’-এর ডাক দিয়েছিলেন মহিলারা। দোষীর শাস্তি এবং চিকিৎসকদের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবিতে অনশনে বসেছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। আন্দোলনে উত্তাল হয়েছিল রাজ্য। তবে পরবর্তীতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে অনশন তুলে নিয়েছিলেন তাঁরা। শনিবার এই ঘটনায় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। সোমবার সাজা ঘোষণা করবেন বিচারক।