আরজি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়। ৯ অগস্টের সেই নারকীয় ঘটনায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত বলে শনিবার রায় দেন শিয়ালদা আদালতের বিচারক। রায়দানের পর তিনি আসন ছেড়ে নেমে যাচ্ছিলেন। কিন্তু সে সময়ে আদালতে উপস্থিত নিহত তরুণীর বাবার কান্না শুনে থমকে যান তিনি। মেয়ের ন্যায়বিচারের দাবির আশায় আদালতে হাজির থাকা বাবা এই রায়ে কী প্রতিক্রিয়া দিলেন?
এ দিন রায়দানের পর আদালতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন নির্যাতিতার বাবা। বিচারকের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনি পূর্ণ মর্যাদা দিয়েছেন। আপনার উপর ভরসা রেখেছিলাম। সে ভরসার মর্যাদা আপনি দিয়েছেন।’
কলকাতার বুকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মতো প্রথমসারির সরকারি হাসপাতালে এক কর্মরত চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় নাড়িয়ে দিয়েছিল বাংলা তথা গোটা দেশকে। পথে নেমে এই তরুণী চিকিৎসকের ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছিল সমাজের সর্বস্তরের মানুষ। রাত দখল হয়েছিল দোষীর ফাঁসির দাবিতে।
সর্বোচ্চ সাজার দাবি তুলেছিলেন নির্যাতিতার পরিবার থেকে শুরু করে মৃতার সহকর্মী চিকিৎসক, সেলেব, সাধারণ মানুষ সকলেই। ১৬২ দিন পর সেই ঘটনায় অবশেষে দোষী সাব্যস্ত করা হলো মূল অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে। আদালত জানিয়েছে, CBI-এর তদন্ত এবং জমা দেওয়া তথ্যপ্রমাণের উপর ভিত্তি করেই এই রায় দিল শিয়ালদা আদালত।
আগামী সোমবার সঞ্জয় রায়ের সাজা ঘোষণা হবে। দুপুর সাড়ে ১২টায় সাজা ঘোষণা করবেন বিচারক। তাঁর সর্বোচ্চ সাজা হতে পারে মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাবাস।