• চলন্ত ট্রেন থেকে উদ্ধার ৪ নাবালিকা
    এই সময় | ১৮ জানুয়ারি ২০২৫
  • এই সময়, তারকেশ্বর: তারকেশ্বর থেকে নিখোঁজ তিন স্কুলছাত্রী–সহ এক নাবালিকাকে চলন্ত ট্রেন থেকে তৎপরতার সঙ্গে উদ্ধার করল তারকেশ্বর থানার পুলিশ। দুপুরে ওই চার ছাত্রী স্কুল থেকে পালিয়ে যাওয়ার পরেই অভিযোগ করা হয় পরিবারের পক্ষ থেকে। তৎপরতার সঙ্গে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ উদ্ধার করে তাদের। শুক্রবার নাবালিকাদের চন্দননগর মহকুমা আদালতে তোলা হয় গোপন জবানবন্দি নেওয়ার জন্য।

    বৃহস্পতিবার তারকেশ্বরে একটি স্কুলের ১২ থেকে ১৫ বছরের তিন নাবালিকা ছাত্রী এবং তাদের এক বান্ধবী (১৩) স্কুলে গিয়ে আর বাড়ি ফেরেনি। স্কুল ছুটির পরেও মেয়েরা না ফেরায় বাড়ির লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। কিন্তু অনেকটা সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও তাদের খোঁজ না পেয়ে চিন্তিত পরিবারের লোকজন তারকেশ্বর থানায় অভিযোগ করেন। তারকেশ্বর থানা সমস্ত থানায় বিষয়টি জানায়।

    এর পরেই পুলিশ সন্ধান পায় এক যুবকের। তার সঙ্গে ওই নাবালিকা ছাত্রীদের মধ্যে পরিচয় গড়ে উঠেছিল সামাজিক মাধ্যমে। সেই সূত্র ধরে পুলিশ তল্লাশি শুরু করে। সমস্ত থানায় এই খবরও পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবকের বাড়ি বর্ধমানের কাটোয়ায়। তার ফোন নম্বর ট্র্যাক করে বর্ধমানের বেহুলা স্টেশন থেকে চার নাবালিকাকে উদ্ধার করে বলাগড় থানার পুলিশ।

    বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ চলন্ত আপ হাওড়া-কাটোয়া গ্যালপিং লোকাল ট্রেনে বলাগড় স্টেশন থেকে প্রতিটি কামরায় তল্লাশি চালাতে থাকে পুলিশ। শেষ পর্যন্ত চার ছাত্রীর খোঁজ মেলে। বেহুলা স্টেশনে ট্রেন দাঁড় করিয়ে চার ছাত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশ। রাতেই তাদের তারকেশ্বর থানার হাতে তুলে দেয় বলাগড় থানার পুলিশ। কী কারণে, কোথায় ট্রেনে করে ওই চার নাবালিকা যাচ্ছিল অথবা তাদের কেউ ফাঁদে ফেলে ভিন্‌ রাজ্যে পাচারের জন্য নিয়ে যাচ্ছিল কি না, তারও তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। একটি ফোনের সূত্র ধরে পুলিশের অনুমান, এই ঘটনার নেপথ্যে পাচার চক্র থাকতে পারে। উদ্ধার হওয়া নাবালিকাদের চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির কাছে পাঠানো হবে।

    হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কৃশানু রায় বলেন, ‘ওই চারটি মেয়ের একজন ফোন করে তার দিদিকে। সেই ফোনের সূত্র ধরেই বলাগড় থানার পুলিশ চলন্ত ট্রেনে তল্লাশি চালায়। কাটোয়া থেকে দু’টি স্টেশন পরে ট্রেনের মধ্যে তাদের উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার রাতেই তারকেশ্বর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।’

  • Link to this news (এই সময়)