পরকীয়া সম্পর্ক? যুগলকে গাছে বেঁধে মারধর, ঘোরানো হল গ্রামে
আজকাল | ১৮ জানুয়ারি ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে অভিযোগ তুলে এক মহিলা এবং এক পুরুষকে গাছে বেঁধে মারধর এবং পরে তাঁদেরকে দড়ি বেঁধে গ্রামের পথে ঘোরানোর অপরাধে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করল মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানার পুলিশ। শনিবার ধৃতদের বহরমপুর আদালতে পেশ করা হবে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি হরিহরপাড়া থানার কেদারতলা এলাকার বাসিন্দা বছর পঁচিশের এক মহিলার সঙ্গে ওই থানা এলাকার লালনগর- হুমাইপুর গ্রামের বাসিন্দা এক যুবকের 'প্রেমের' সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মহিলার স্বামী বর্তমানে কর্মসূত্রে ভিন রাজ্যে রয়েছেন। দম্পতির একটি নাবালক সন্তানও রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
স্বামীর অনুপস্থিতিতে ওই মহিলার সঙ্গে হুমাইপুরের বাসিন্দা এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে বলে জানা যায়। গত বেশ কয়েক মাস ধরে ওই যুবক প্রায়ই মহিলার বাড়িতে রাতের অন্ধকারে গাড়ি নিয়ে আসতেন এবং তাঁকে সঙ্গে নিয়ে অন্য কোথাও চলে যেতেন বলে গ্রামবাসীরা জানান। তবে ভোরের আলোর ফোটার আগেই যুবক মহিলাকে বাড়িতে নামিয়ে দিয়ে যেতেন বলে গ্রামবাসীরা বলেন।
নিয়মিত এই ঘটনা দেখে গ্রামের বাসিন্দাদের সন্দেহ হয় দু'জনের মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাতে ওই যুবক ফের মহিলার বাড়িতে নিজের গাড়ি নিয়ে হাজির হয় এবং দু'জনে একসঙ্গে বেরিয়ে পড়েন। রাত বারোটার পর ওই যুবক যখন মহিলাকে বাড়িতে পৌঁছে দিতে আসেন সেই সময় গ্রামের কিছু বাসিন্দা দু'জনকে ধরেন। গ্রামবাসীদের দাবি, তাঁদের বিভিন্ন প্রশ্নের মুখে পড়ে ওই যুগল কোথায় গিয়েছিলেন এবং রোজ তাঁরা কী করেন তার সদুত্তর দিতে পারেননি। এরপরই গ্রামের 'পরিবেশ' নষ্ট হচ্ছে এই অভিযোগ তুলে স্থানীয় কিছু বাসিন্দা ওই যুগলকে দড়ি দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার অপরাধে শুক্রবার ওই যুগলকে দড়ি দিয়ে বেঁধে গ্রামের পথেও ঘোরানো হয়। পরে গ্রামে যখন এই নিয়ে সালিশি সভা বসে সেই সময় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ছ'জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। হরিহরপাড়া থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবক-যুবতীকে মারধর করা এবং দড়ি বেঁধে প্রকাশ্যে ঘোরানোর জন্য কয়েকজনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তার ভিত্তিতে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।