জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে মহা কুম্ভ মেলা যা চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। মহাকুম্ভ উপলক্ষে দেশ-বিদেশ থেকে আসা ভক্তের ঢল এসে হাজির হয় প্রয়াগরাজে। এই বছর যেমন মহাকুম্ভে দেখা মিলেছে 'ইঞ্জিনিয়ার বাবা'-র সঙ্গে যিনি সকলের কাছে 'আইআইটি বাবা' নামে অত্যন্ত জনপ্রিয়; তেমনই দেখা মিলেছে 'চাবি বাবা'-র। এবার মহাকুম্ভে দেখা মিলেছে 'মাসকুলার বাবা'-র, এই সন্ন্যাসীর চেহারা দেখে কেউ কেউ তাঁকে কলিযুগের পরশুরাম বলেও মনে করছেন। জনপ্রিয় সকল বাবার মতোই তিনিও এখন চর্চার তুঙ্গে।
রাশিয়ার বাসিন্দা আত্মা প্রেমগিরি মহারাজ ভক্তদের কাছে 'মাসকুলার বাবা' বা 'পেশিবহুল বাবা' নামে পরিচিত। বর্তমানে তিনি থাকেন নেপালে। ৩০ বছর আগে শিক্ষকতার পেশা ছেড়ে, দেশ ছেড়ে আধ্যাত্মিকতার পথ বেছে নিয়েছিলেন এবং আজ তিনি সম্পূর্ণরূপে হিন্দু ধর্মের প্রচারে ব্যস্ত। এখন তিনিই মহাকুম্ভে আকর্ষণের কেন্দ্রে। তাঁর উচ্চতা ৭ ফুট, দীর্ঘদেহী তাই অনেকেই তাঁকে আবার 'কলিযুগের পরশুরাম' বলেও মনে করছেন। প্রেমগিরি জুনা আখারা নামের এক হিন্দু সন্ন্যাসীদের সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। এখন তাঁকে ঘিরেই সমাজমাধ্যমে চর্চা তুঙ্গে। গত শুক্রবার থেকেই কুম্ভমেলায় শুরু হয়েছে এক বিশেষ আচার অনুষ্ঠান, শুরু হয়েছে নাগা সাধুদের হওয়ার প্রক্রিয়া। ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে, নাগা সাধু হতে ইচ্ছুক সাধু সন্ন্যাসীদের ১০৮ বার গঙ্গায় ডুব দিয়ে পরীক্ষা দিলেই তাঁরা পাবেন মোক্ষপ্রাপ্তি। এখনও অবধি জানা যাচ্ছে, এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহন করতে চলেছেন প্রায় ১৮০০ সাধু।
কাতারে কাতারে ভক্ত, সন্ন্যাসী, বিদেশি পর্যটকরা ভিড়ে নজর কেড়েছেন সাত ফুট উচ্চতার এই সন্ন্যাসী। তাঁর পরনে রয়েছে গেরুয়া বসন, গলায় রয়েছে রুদ্রাক্ষের মালা এবং কাঁধে ঝোলানো ব্যাগ; তা নিয়ে তিনি সকলেরই উৎসাহের কেন্দ্রে। সম্প্রতি কেভিন বাবরিস্কি নামে এক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী প্রেমগিরির ছবি, ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেন। বিশালাকার চেহারার এই মানুষটিকে দেখে নেটিজেনদের মনে তাঁকে ঘিরে তৈরি হয়েছে আগ্রহ। তাঁকে দেখতেই কাতারে কাতারে ভীড় জমাচ্ছেন ভক্তরা।