আর জি কর মামলা: ধর্ষণ-খুনে দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়, সাজা ঘোষণা সোমবার
প্রতিদিন | ১৮ জানুয়ারি ২০২৫
আর জি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের সিবিআই মামলায় রায়দান। ধৃত মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের কী পরিণতি হয়, সেদিকে তাকিয়ে গোটা দেশ। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল এই মামলায় রায়দান সংক্রান্ত যাবতীয় খুঁটিনাটি তথ্যের জন্য নজর রাখুন আর জি কর LIVE UPDATE-এ।
বিকেল ৪.১৮: “ডিএনএ অনেকের। কীভাবে একজন দোষী?”, প্রশ্ন জুনিয়র চিকিৎসক আসফাকুল্লা নাইয়ার।
দুপুর ৩.৫৫: আদালত চত্বরে প্রচুর মানুষের জমায়েত।
দুপুর ৩.৪৯: “সর্বোচ্চ সাজা হোক চাইব”, সঞ্জয় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর বললেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
দুপুর ৩.৩৩: সিবিআইয়ের আইনজীবী পার্থসারথী দত্ত বলেন, “সঞ্জয়ের কথার কোনও ভিত্তি নেই। তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।” আগামী দিনেও তদন্ত চলবে বলেও জানান আইনজীবী।
দুপুর ৩.২২: সঞ্জয় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর কুণালের প্রতিক্রিয়া, “কলকাতা পুলিশের তদন্ত একেবার সঠিক। যাঁরা বলছিলেন সিবিআই তদন্ত। তাঁরা এখন কী বলছেন?”
দুপুর ৩.১৩: সঞ্জয় রায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় বিচারককে ধন্যবাদ জানালেন তিলোত্তমার বাবা-মা।
দুপুর ৩.১১: “মিডিয়া ট্রায়াল ও পুলিশের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে আর জি কর মামলার রায়দান”, বললেন নির্ভয়ার বাবা।
দুপুর ৩.১০: “এক নাকি একাধিক ব্যক্তি যুক্ত, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই”, দাবি আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতোর। দুপুর ৩.০৮: কাঠগড়া থেকে নামতে নারাজ সঞ্জয়। কার্যত জোর করে কাঠগড়া থেকে সঞ্জয়কে নামায় পুলিশ। বারবার সে বলতে থাকে, “আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।”দুপুর ৩.০৫: হাতজোড় করে সঞ্জয় বলে, “আপনি তো স্যার দোষী সাব্যস্ত করেই দিলেন। আমি গরিব। আমি এই কাজ করিনি। যারা করেছে তারা কেন বাইরে রয়েছে?” একজন আইপিএস আধিকারিক এই ঘটনায় যুক্ত রয়েছে বলেও ইঙ্গিত করে সঞ্জয়।
দুপুর ৩: বিচারক বলেন, “সব সাক্ষীকে জেরা করে আপনার বিরুদ্ধে যা প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে তার ভিত্তিতে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। শাস্তি আপনাকে পেতে হবে। কী শাস্তি হবে সেটা সোমবার জানানো হবে। সোমবার আপনার কথাও শুনব।
দুপুর ২.৫০: দোষী সঞ্জয় রায় বলে, “আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আমার গলায় রুদ্রাক্ষের মালা আছে। রুদ্রাক্ষের মালা নিয়ে এই অপরাধ করব। আমি যদি এই অপরাধ করতাম তাহলে রুদ্রাক্ষের মালা ছিঁড়ে পড়ে যেত। স্যার আপনি বুঝতে পারছেন নিশ্চয়ই যে আমাকে পুরো ফাঁসানো হচ্ছে।”দুুপুর ২.৪০: বিচারক সঞ্জয়কে বলেন, “৯ আগস্ট আপনাকে হাসপাতালের আশেপাশে ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছে। সাক্ষ্য এবং তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আপনি দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪ (ধর্ষণ), ৬৬ (ধর্ষণের জন্য মৃত্যু) এবং ১০৩ (১) (খুন) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪ (ধর্ষণ) ধারায় সর্বোচ্চ ১০ বছর বা তার বেশি কারাদণ্ড হতে পারে। ৬৬ (ধর্ষণের জন্য মৃত্যু) ধারায় ২৫ বছর বা তার বেশি অর্থাৎ যাবজ্জীবন। মৃত্যু পর্যন্ত জেলে থাকতে হবে। যেভাবে আপনি গলা চেপে ধরে খুন করেন, সেক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে।”
দুুপুর ২.৪০: সঞ্জয় রায়কে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪ (ধর্ষণ), ৬৬ (ধর্ষণের জন্য মৃত্যু) এবং ১০৩ (১) (খুন) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
দুপুর ২.৩৭: ধর্ষণ-খুনে দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়, সোমবার সাজা ঘোষণা। দুপুর ২.১৭: এজলাসে এলেন সঞ্জয়ের আইনজীবী। প্রবেশ বিচারক অনির্বাণ দাসের। কোর্টের সামনে মানুষের ঢল। দুপুর ১.৪৬: আদালত কক্ষে নির্যাতিতার বাবা, মা, কাকা, কাকিমা এবং ভাই।
দুপুর ১.৩৩: শিয়ালদহ স্টেশনে পৌঁছলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। আদালতের পথে তরুণী চিকিৎসকের পরিবারের লোকজন।
দুপুর ১.২৯: বিচারক এখনও এজলাসে পৌঁছননি। তাঁর আসনের সামনেও কড়া পুলিশি নিরাপত্তা।
দুপুর ১.১০: সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবিতে আদালত চত্বরে জোর স্লোগান।
দুপুর ১: প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে শিয়ালদহ আদালতে পৌঁছলেন সঞ্জয় রায়। আপাতত কোর্ট লকআপে রাখা হয়েছে তাকে।
বেলা ১২.৩০: ট্রেনে চড়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা নির্যাতিতার বাবা-মা।
বেলা ১২.২০: ২১১ নম্বর আদালত কক্ষে শুনানি হবে।
বেলা ১২.০৫: আদালতে উপস্থিত সবপক্ষের আইনজীবী।
বেলা ১১.৪৪: আদালতে পৌঁছলেন সঞ্জয়ের আইনজীবী কবিতা সরকার।বেলা ১১.৩০: আদালত চত্বরে বাংলা পক্ষের সমর্থকদের জমায়েত।বেলা ১১: সময় যত গড়াচ্ছে ততই আদালত চত্বরে বাড়ছে ভিড়।
সকাল ১০: শিয়ালদহ আদালত চত্বরে একের পর এক ব্যারিকেড। মোতায়েন বিশাল পুলিশবাহিনী।