সম্যক খান, মেদিনীপুর: প্রসূতি ও সদ্যোজাতর মৃত্যু ঘিরে বিতর্কের মুখে পড়া মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে নতুন করে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হল শনিবার। এদিন দুপুরে জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক চলাকালীন জোর করে সেখানে বিক্ষোভকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা ঢুকে পড়ে বলে অভিযোগ। ঘেরাও করে মেডিক্যাল কলেজের সুপার, অধ্যক্ষদের। তবে মহিলা কমিশনের সদস্যদের ঘেরাওয়ের বাইরে রাখা হয়েছে বলে ঘোষণা করেন তাঁরা। এনিয়ে মেডিক্যাল কলেজে তীব্র উত্তেজনা। নতুন দায়িত্ব নেওয়ার পর সুপার ডাঃ ইন্দ্রনীল সেন বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি সামলানো যায়নি।
গত বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রসবের পর মামনি রুইদাস নামে যুবতীর মৃত্যুতে কাঠগড়ায় তোলা হয় চিকিৎসকদের একাংশকে। ওইদিন অপারেশনে তাঁদের গাফিলতির অভিযোগে মোট ১২ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয়। এই তালিকায় ছিলেন জুনিয়র ও সিনিয়র ডাক্তার, সুপার, আরএমও-ও। এর প্রতিবাদে শনিবার থেকে আংশিক কর্মবিরতিতে নামেন জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ। তবে এমার্জেন্সি ও আউটডোর পরিষেবা চালু রেখেছেন তাঁরা। নতুন এমএসভিপি হয়ে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের দায়িত্ব নেন সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের ইএনটি বিশেষজ্ঞ ডাঃ ইন্দ্রনীল সেন।
শনিবার প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদার মেদিনীপুর মেডিক্যালে পৌঁছন। সুপার এবং CMOH-এর সঙ্গে অ্যাকাডেমিক বিল্ডিংয়ে রুদ্ধদ্বার কক্ষে বৈঠক করেন। অভিযোগ, সেই সময়ে জোর করে বিক্ষোভকারীরা ঢুকে পড়েন বৈঠকের মাঝে। নিজেদের দাবি জানাতে থাকেন তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের পালটা অভিযোগ, তাঁদের কথা কেউ শুনতে চাননি। বাইরে বের করে দেওয়া হয়েছে। সেখানেই তাঁরা সুপার, অধ্যক্ষ, সিএমওএইচ-কে ঘেরাও করে রাখেন। এরপর সুপার নিজে বেরিয়ে এসে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি শান্ত হয়নি। যদিও প্রতিবাদী জুনিয়র ডাক্তাররা জানান, জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যের প্রতি তাঁদের কোনও ক্ষোভ নেই। তিনি যখন চাইবেন, বেরিয়ে যেতে পারেন।