মমতা সবার মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেননি, আমি সমস্ত আক্রান্তের পাশে দাঁড়িয়েছি
হিন্দুস্তান টাইমস | ১৮ জানুয়ারি ২০২৫
বামেদের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত যাদবপুরে দাঁড়িয়ে সিপিএমকে তীব্র আক্রমণ করলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, হিন্দু ভোট কেটে তৃণমূলকে লোকসভা ভোটে ১০টা আসন উপহার দিয়েছে সিপিএম। ফের সিপিএমকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে তিনি বলেন, ক্ষমতা থাকলে সিপিএম বলুক নো ভোট টু মমতা।
এদিন শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘আমি তো সিপিএমের কমরেডদের বলি, দম থাকলে বলো, নো ভোট টু মমতা। মানুষ ঠিক করবে, তোমাদের আনবে না আমাদের আনবে। তখন তারা বলে আমরা সেকুলার। যে বিকাশ ভট্টাচার্য রাস্তায় দাঁড়িয়ে গরুর মাংস খেয়ে নিজের সেকুলারিজম প্রমাণ করে সে ২ দিন আগে পোস্ট করেছে, ১৫ লক্ষ কোটি টাকা না কি খরচ হচ্ছে প্রয়াগে। ১৪৪ বছর পরে কুম্ভ, তাকে আক্রমণ করছে এই সেকুরা, মাকুরা। যারা যাদবপুরে জাতীয় পতাকা তুলতে দেয় না। বন্দেমাতরম বলতে দেয় না। জাতীয় সংগীত গাইতে দেয় না।’
এর পর সিপিএমের তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আমরা বিরোধী দল। আমাদের এখানে কাউন্সিলর নেই, বিধায়ক নেই, সাংসদ নেই। দায়িত্ব আছে আমাদের। এই বিরোধী দল নো সেটিং অপোজিশন। ১১তে সূর্য মিশ্র বিরোধী দলনেতা ছিল। বিমানবাবু নবান্নতে ফিশ ফ্রাই খেয়েছেন। ১৬তে কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা ছিল। কোনও ইস্যুতে মুখ খুলত না। আমরা সাড়ে তিন বছরের বিরোধী দল, একটা ইস্যু বলুন যেখানে দল, মত, ধর্ম, বর্ণের ওপরে উঠে মানুষের জন্য বিধানসভার ভিতরে ও বাইরে সোচ্চার হইনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবার মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেনি। আমাকে বিরোধী দলনেতা করেছেন নরেন্দ্র মোদীজি ও জেপি নড্ডাজি। যারাই পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল ও সরকারের দ্বারা অত্যাচারিত আমি তাদের বিরোধী দলনেতা হওয়ার চেষ্টা করেছি করছি। বিজেপি মাত্র ১৭টা ভোট পেয়েছিল রামপুরহাটের বগটুইতে। কিন্তু সেখানে যখন মুসলিম মহিলাদের পুড়িয়ে মারা হয়েছিল তখন আমি সবার আগে ৫৫ জন বিধায়ককে নিয়ে ছুটে গেছিলাম। ভারতীয় জনতা পার্টি নো সেটিং অপোজিশন।’