• 'তৃণমূলের পার্টি অফিস তৈরির টাকা জোগাড় করতে গিয়ে ভেঙে পড়েছে বাঘাযতীনের বহুতল'
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৮ জানুয়ারি ২০২৫
  • কলকাতা লাগোয়া বাঘাযতীন এলাকায় বহুতল বিপর্যয়ের ঘটনার প্রতিবাদে সভা করে ওই ঘটনার জন্য তৃণমূলের দুর্নীতিকে দায়ী করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার বিকেলে বাঘাযতীন কলোনিতে মিছিলের পর সভা করেন শুভেন্দুবাবু। সেখানে তিনি দাবি করেন, তৃণমূলের নব নির্মিত পার্টি অফিস তৈরির জন্য টাকা তুলতে গিয়েই বেআইনি বাড়ি তৈরিতে ছাড়পত্র দিয়েছে পুরসভা।

    এদিন শুভেন্দুবাবু বলেন, ২০১০ সালে কলকাতা পুরসভায় ক্ষমতায় আসার পর থেকে জোকা থেকে বারাসত পর্যন্ত ৫ হাজার পুকুর ভরাট করেছে তৃণমূল। খেলার মাঠ, মেলার মাঠ, দেবত্র সম্পত্তি দখল করে প্রোমোটারদের হাতে তুলে দিয়েছে এরা।

    p এবং প্রতি স্কোয়ার ফিটে এরা টাকা দেয়। বেহালার এক কাউন্সিলর দিদিমণির ভিডিয়ো আমি ছেড়ে দিয়েছিলাম। ভিডিয়োটা তৃণমূলের লোকেরাই আমাকে দিয়েছে। তাতে বলছেন, জানো বাবা, আমি বেশি নিই না। ঘনশ্যামরা ওখানে দেড়শ টাকা করে স্কোয়্যারফিট নেয়। আমাকে তোমরা ৫০ টাকা করে স্কোয়্যারফিট দিও। সেই দিদিমণি তো একেবারে লাফিয়ে পড়ল, আমি শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করব। আমি অপেক্ষা করে ছিলাম কখন আসবে আমার পত্র। কিন্তু চার - পাঁচ মাস হয়ে গেল, পত্র এখনও এল না।

    এর পরই কলকাতা পুরসভার ৯৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘এই যে মিতালি দিদিমণি গত কয়েকদিন ধরে গলা ফাটাচ্ছেন। চোখে মুখে ভয় আছে। বুঝতে পারছি আমরা। এই দিদিমণির অনেক কাণ্ড।’

    তিনি দাবি করেন, ‘এই বিল্ডিং ১৩ - ১৪ সালের অনুমোদিত প্ল্যান। কাউন্সিলর ছিলেন এই মিতালি দিদিমণি। মেয়র ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। এখন যখন ভেঙে পড়ল তখনও কাউন্সিলর মিতালি দিদিমণি। আর মেয়র তৃণমূলের ফিরহাদ হাকিম।’

    শুভেন্দুর অভিযোগ, এরা ৩ তলার প্ল্যান দিয়ে ৬ তলা বাড়ি করিয়েছে। ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশন না করেই টাকার বিনিময়ে এরা সমস্ত বিল্ডিংকে ফিট সার্টিফিকেট দিয়েছে। মাননীয় দিদিমণি কাউন্সিলর। ওই বেহালার কাউন্সিলরের মতোই রেটটা আপনার কম। আপনার পিএ শংকর প্রত্যেকটা ফাইল সই করিয়েছেন ন্যূনতম ৩ লাখ সর্বোচ্চ ৪ লাখ টাকা করে। এসব টাকা যাবে না।

    বক্তব্যের শেষে বিস্ফোরক দাবি করেন শুভেন্দুবাবু। তিনি বলেন, ‘বাইপাসের ধারে জাভেদ খানের জায়গায় তৃণমূলের একটা অফিস ছিল। ওই অফিস ভেঙে বাইপাসে চিংড়িঘাটার কাছে একটা প্রাসাদ কিনেছে। মমতা ব্যানার্জির বাড়ির কাছে ৪ কোটি টাকা দিয়ে জমি কিনে একটা পাঁচ তলা পার্টির বাড়ি বানিয়েছে। বিরাট বাড়ি। পাশে সব পাঁচ তারা হোটেল। সবাইকে হার মানিয়ে দিয়েছে। মা মাটি মানুষের পার্টি। হাওয়াই চটি আর টালিতেই সম্ভব। ২০০ কোটি টাকা খরচ করে তারা সেভেন স্টার পার্টি অফিস তৈরি করেছে। মেয়রের পিএ কালীপদ। চোর কালী। তিনি ২০০ কোটি বেআইনি বিল্ডিং প্ল্যান আর মিউটেশন - কনভারশন থেকে তুলে ওই পার্টি অফিস তৃণমূলকে তৈরি করে দিয়েছে। তার খেসারত ৯৯ নম্বর ওয়ার্ডে এই বাড়ি ভেঙে পড়ে যাওয়া।’ মমতা থাকলে আর এই চোরেরা থাকলে আরও বাড়ি ভাঙবে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)