'রাজপথ ছাড়ি নাই,' ফের রাস্তায় জুনিয়র ডাক্তাররা, আবার কি রাত দখল?
হিন্দুস্তান টাইমস | ১৮ জানুয়ারি ২০২৫
আরজিকর কাণ্ডে রায় ঘোষণা করা হয়েছে। শিয়ালদা আদালত চত্বরে রায় ঘোষণা হয়েছে শনিবার। সেখানে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে সঞ্জয় রায়কে।
তারপরই এক চিকিৎসক বলেন, সঞ্জয় রায় আছেন হয়তো। পুরোপুরি চার্জশিট দিলে পুরো বিচার মিলত। মূল অপরাধী আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে কি না সেটা দেখা হোক। আন্দোলনের ঢেউ তৈরি হয়েছে। হাজার গুণে ঢেউ তৈরি হবে। গোটা দেশ আবার উত্তাল হবে। এই বার্তাটাই শাসককে দিতে চাই।
সকাল থেকেই শিয়ালদা চত্বরে প্রচুর মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। বহু মানুষ চোখ রেখেছিলেন মোবাইলে, টিভিতে। শেষ পর্যন্ত রায় ঘোষণা। দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়। শিয়ালদা আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস জানিয়ে দেন, যে প্রমাণ আছে, সেটার ভিত্তিতে সঞ্জয়কে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪ দোষী সাব্যস্ত করা হচ্ছে। তার সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি বা মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। শাস্তি ঘোষণা করা হতে পারে আগামী সোমবার।
সঞ্জয়ের দাবি, আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আমি কিছু করিনি।
তবে রায় ঘোষণার পরেই প্রশ্ন উঠতে থাকে আর কারা জড়িত?
শিয়ালদা আদালত চত্বর থেকে বের হয় মিছিল। জুনিয়র ডাক্তারদের পাশাপাশি প্রচুর সিনিয়র চিকিৎসক এই প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দেন। তাঁদের নতুন করে আন্দোলনের ঢেউ তৈরি হচ্ছে।
বিগত দিনে টানা আন্দোলন হয়েছিল। হয়েছিল রাত দখল। হাজার হাজার মানুষ নেমে এসেছিল রাস্তায়। ফের শুরু হল প্রতিবাদ মিছিল। শনিবার বিভিন্ন প্রতিবাদ মঞ্চের তরফ থেকে বহু মানুষ এসেছিলেন শিয়ালদা আদালত চত্বরে। এদিন বিকালেও প্রচুর মানুষ ছিলেন শিয়ালদা আদালত চত্বরে। তাঁদের একটাই কথা, আসল সত্যিটা সামনে আসুক। এত কিছুর পরেও যদি মানুষ জেগে না ওঠেন তাহলে বলার কিছু নয়। যতদিন পর্যন্ত আমরা সুবিচার পাব না ততদিন পর্যন্ত আমারা রাস্তায় থাকব।
কার্যত যে স্লোগান গত পাঁচমাস ধরে তুলেছিলেন আন্দোলনকারীরা, উই ওয়ান্ট জাস্টিস, উই ডিমান্ড জাস্টিস, সেটাই আবার সামনে এল। কার্যত উঠল সেই একই স্লোগান, রাজপথ ছাড়ি নাই।
এক্সট্রা ডিএনএ কোথা থেকে এল? এটা কার? সিসি ক্যামেরায় অনেকজনকে দেখা গিয়েছে। বাকি কারা? যে প্রশ্নগুলো সাধারণ মানুষের মনে আসছে তার উত্তর দিতে হবে। বললেন আন্দোলনকারীদের অন্যতম জুনিয়র ডাক্তার আসফাকুল্লা নাইয়া। রাত দখলের অন্যতম আহ্বায়ক রিমঝিম সিনহা সংবাদমাধ্যমে বলেন, গোটা ঘটনায় একজন জড়িত থাকতে পারে না। …রাত দখলকারীদের উপর যেভাবে হামলা হয়েছে, পুলিশ হেনস্থা করেছে, তাতে এটা বোঝা গিয়েছে যে সিস্টেমের কোনও একটি বিষয়কে আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তবে ফের রাত দখল ফের হবে কি না তা নিয়ে নির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি।