• সঞ্জয় রায়ই ধর্ষক ও খুনি! নির্দোষ বলে দাবি করলেও রায় আদালতের, কবে সাজা ঘোষণা?
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৮ জানুয়ারি ২০২৫
  • সঞ্জয় রায়ই ধর্ষক এবং খুনি। আরজি কর মামলায় সিভিক ভলান্টিয়ারকে দোষীসাব্যস্ত করল শিয়ালদা আদালত। শনিবার শিয়ালদা অতিরিক্ত দায়রা বিচারকের আদালত জানিয়েছে, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় সঞ্জয়কে দোষীসাব্যস্ত করা হয়েছে। আগামী সোমবার সাজা ঘোষণা করা হবে। যে আজও আদালতে দাঁড়িয়ে দাবি করেছে, সে নির্দোষ। যদিও তাতে ভ্রূক্ষেপ করেনি শিয়ালদা আদালত। সর্বোচ্চ সাজা হতে পারে মৃত্যুদণ্ড। সর্বনিম্ন সাজা হতে পারে যাবজ্জীবন।

    শিয়ালদা আদালতে 'ইন-ক্যামেরা ট্রায়াল'-এ বায়োলজিক্যাল প্রমাণের উপরে নির্ভর করে সিবিআই। ডিএনএ নমুনা, ভিসেরা রিপোর্ট, টক্সিলজি রিপোর্ট, লেয়ারড ভয়েস অ্যানালিসিসের মতো বিভিন্ন প্রমাণের উপরে ভিত্তি করে সঞ্জয়কে মূল অভিযুক্ত হিসেবে তুলে ধরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।


    সিবিআইয়ের তরফে দাবি করা হয়, নির্যাতিতা চিকিৎসকের দেহে যে লালারসের নমুনা এবং ডিএনএয়ের নমুনা পাওয়া গিয়েছে, তা সঞ্জয়ের সঙ্গে মিলে গিয়েছে। ঘটনার সময় নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করেছিলেন নির্যাতিতা। আর সঞ্জয়ের শরীরে সেরকম পাঁচটি আঘাতচিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। অপরাধস্থল থেকে যে চুল উদ্ধার করা হয়েছে, তাও সঞ্জয়ের বলে প্রমাণ মিলেছে।

    তাছাড়াও ফোনের টাওয়ার লোকেশন, ব্লুটুথ ডিভাইসের মতো বিষয় থেকেও ঘটনাস্থলে সঞ্জয়ের উপস্থিতির বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে বলে সিবিআইয়ের তরফে দাবি করা হয়। সেইসব পারিপার্শ্বিক এবং বায়োলজিক্যাল প্রমাণের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে সওয়াল করা হয় যে ‘বিরল থেকে বিরলতম’ অপরাধ ঘটেছে। তাই সঞ্জয়কে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়ার আর্জি জানায় সিবিআই।


    যদিও সিসিটিভি ফুটেজ এবং নয়াদিল্লির সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির রিপোর্ট উদ্ধৃত করে সঞ্জয়ের আইনজীবী দাবি করেন, যে সেমিনার হল থেকে ৯ অগস্ট তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল, সেখানে এমন জায়গা দিয়ে যেতে হয়, যেখানে ২৪ ঘণ্টা লোক থাকেন। সেই পরিস্থিতিতে সকলের নজর এড়িয়ে চুপচাপ সেমিনার হলে ঢুকে যাওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কম। কারও নজরে না পড়ে ২৮ মিনিটের মধ্যে ধর্ষণ এবং খুন করা সম্ভব নয় বলে দাবি করেন সঞ্জয়ের আইনজীবী।

    অন্যদিকে নির্যাতিতার বাবা-মা দাবি করেন যে সঞ্জয়ের পক্ষে একা সেই কাজ ঘটানো সম্ভব নয়। সেই ঘটনায় আরও অনেকে যুক্ত আছে বলে দাবি করেছেন তাঁরা। পরিবারের দাবি, সিবিআইয়ের তদন্ত এখনও অর্ধেক হয়েছে। এমনকী কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছেন বাবা-মা।


    যে তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে ক্ষোভের মাত্রা আরও বেড়েছে ১৩ ডিসেম্বর থেকে। কারণ নির্ধারিত ৯০ দিনের মধ্যে চার্জশিট পেশ করতে না পারায় সেদিন ধর্ষণ ও খুনের মামলায় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল জামিন পেয়ে যান। সেই ঘটনায় চরম উষ্মাপ্রকাশ করেন নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা-মা এবং সাধারণ মানুষও।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)