• ‘প্রতিভাবান বাঙালি হিন্দুদের ফাঁকিবাজ তৈরি করেছিলেন জ্যোতি বসু!’ তোপ তথাগতর
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৮ জানুয়ারি ২০২৫
  • শুক্রবারই কলকাতা লাগোয়া নিউ টাউনে জ্যোতি বসুর নামাঙ্কিত গবেষণাকেন্দ্র উদ্বোধন করেছে সিপিআই। তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই এ নিয়ে রাজ্যের প্রাক্তন শাসকদলকে খোঁচা দিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথাগত রায়।

    শনিবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এই বিষয়ে একটি পোস্ট করেছেন তথাগত। সেই পোস্টে পশ্চিমবঙ্গের প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুকে কার্যত বাংলা ও বাঙালির ভিলেন হিসাবে উপস্থাপিত করেছেন তিনি। একাধিক অতীত উদাহরণ টেনে এনে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, কীভাবে জ্যোতি বসুর জন্য বাংলার উন্নয়নের গতি ইতিপূর্বে বারবার বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে।

    নিজের পোস্টে সিপিআই-এর উদ্দেশে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে জ্যোতি বসু সম্পর্কে বিশেষ কিছু তথ্য তাঁরই নামাঙ্কিত গবেষণাকেন্দ্রের মাধ্যমে প্রকাশ্যে আনার দাবি তোলেন তথাগত।

    তিনি লেখেন, 'কলকাতার নিউ টাউনে জ্যোতি বসু সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড সোশাল স্টাডিজ-এর উদ্বোধন করেছে সিপিআই। আমার পরামর্শ সেখানে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি নিয়েও গবেষণা করা হোক'!

    এরপর নিজের পোস্টে মূলত চারটি বিষয় তুলে ধরেছেন তথাগত। যেখানে পশ্চিমবঙ্গকে 'জাঙ্কইয়ার্ড' বা বাতিল জিনিসপত্র ফেলার স্থানের সঙ্গে তুলনা করেছেন তিনি। এবং রাজ্যের এই পরিণতির জন্য সরাসরি দায়ী করেছেন জ্যোতি বসুকেই।

    তথাগতর অভিযোগ, 'ভারতের সবথেকে শিল্পসমৃদ্ধ রাজ্যকে জাঙ্কইয়ার্ডে পর্যবসিত করেছিলেন জ্যোতি বসু।' সিপিআই-এর প্রতি তথাগতর পরামর্শ, কীভাবে জ্যোতি বসু এমনটা করলেন, সেটা যেন তাঁর নামাঙ্কিত গবেষণাকেন্দ্রে অন্বেষণ করে দেখা হয়।

    বাম জমানায় পশ্চিমবঙ্গের মানুষ যে রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত সক্রিয় ছিল, এবং তাদের অধিকাংশই যে বাম-মনস্ক ছিল, এমন কথা তথ্যাভিজ্ঞ মহলের মুখে প্রায়ই শোনা যায়। এমনকী, বহু ক্ষেত্রে এমনটাও অভিযোগ করা হয় যে বাম আমলে রাজনীতির দাপাদাপির কারণেই বহু কল-কারখানা লাটে উঠে গিয়েছে। এই বিষয়টিকে উল্লেখ করে বঙ্গবাসীকে খোঁচা দিতেও ছাড়েননি তথাগত। এবং এক্ষেত্রেও জ্যোতি বসুকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি।

    তাঁর অভিযোগ, জ্যোতি বসুই নাকি প্রতিভাবান বাঙালি হিন্দুদের এমনভাবে বদলে দিয়েছিলেন, যার ফলে তারা কাজে ফাঁকি দিতে শুরু করে এবং অযথা ঝামেলা করে। নয়া গবেষণাকেন্দ্রে এ নিয়েও গবেষণা করার পরামর্শ দিয়েছেন তথাগত রায়।

    তাঁর দাবি, সিপিআই-এর ভোটব্য়াঙ্ক অক্ষুণ্ণ রাখতেই জ্যোতি বসু তাঁর জমানায় পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশি মুসলমানদের অনুপ্রবেশে মদত দিয়েছেন।

    এরই পাশাপাশি, ১৯৭৮ সালের ভয়ঙ্কর মরিচঝাঁপির গণহত্যার নেপথ্যেও আদতে যে জ্যোতি বসুরই মস্তিষ্ক ছিল, সেই অভিযোগও করেছেন তথাগত। তাঁর দাবি, এই সমস্ত বিষয়গুলি সিপিআই-কে জ্যোতি বসুর নামাঙ্কিত গবেষণাকেন্দ্রে গবেষণা করে দেখতে হবে এবং সত্য সামনে আনতে হবে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)