ট্যাব, মোবাইলেই ডুবে যুব সমাজের একাংশ। পিডিএফ, ডিজিটাল লাইব্রেরি, অডিয়ো স্টোরির জমানায় বই পড়ার অভ্যাস চলে যাচ্ছে অনেকেরই। বইয়ের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি করতে নতুন রাস্তা খুঁজে বার করল উলুবেড়িয়া কলেজ কর্তৃপক্ষ। উলুবেড়িয়া বইমেলায় সেই প্রস্তাব তুলে ধরলেন উলুবেড়িয়া কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী পুলক রায়।
শনিবার উলুবেড়িয়া বইমেলার উদ্বোধন করা হয়। বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকেই মন্ত্রী ঘোষণা করেন, যদি এই বইমেলা থেকে কলেজের বর্তমান এবং প্রাক্তন ছাত্ররা বই কিনে পড়ার পর রশিদ-সহ উলুবেড়িয়া কলেজকে বই দিয়ে দেন, তা হলে কলেজ ওই বইয়ের মূল্য দিয়ে দেবে। মন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তকে পূর্ণ সম্মতি জানান উলুবেড়িয়া কলেজের অধ্যক্ষ দেবাশিস পাল।
বয়স্ক বা অশীতিপর ব্যক্তিদের বই পড়ার অভ্যাস টিকিয়ে রাখার জন্যেও দারুণ উদ্যোগ কলেজের। মেলা থেকেই এই হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর দিয়ে দেওয়া হয়। সেই নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপ করে আবেদন করলে তাঁদের বাড়িতে বই নিয়ে পৌঁছে যাবেন উলুবেড়িয়া কলেজের পড়ুয়ারা। শুধু পৌঁছে যাওয়াই নয়, তাঁদেরকে ওই বই পড়েও শোনাবেন পড়ুয়ারা।
এ বারের উলুবেড়িয়া বইমেলার অন্যতম আকর্ষণ বীরভূমের শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরি হাট। মেলায় সোনাঝুরি হাটের ব্যবসায়ীরা রকমারি জিনিসপত্রের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। বই কেনার পাশাপাশি হস্তশিল্পের সম্ভার দেখার সুযোগ পাবেন দর্শকরা। প্রসঙ্গত, সারা রাজ্যের সব জেলায় একটিমাত্র বইমেলা হলেও হাওড়া জেলায় দু’টি বইমেলা হয় সরকারি উদ্যোগে। গত বছর উলুবেড়িয়া বই মেলায় প্রায় ২৩ লক্ষ টাকার বই বিক্রি হয়েছিল।