• দিঘায় এই উৎপাত এবার কড়া হাতে রুখবে প্রশাসন, প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থাও নেবে
    এই সময় | ১৮ জানুয়ারি ২০২৫
  • মাটিবোঝাই গাড়ি যাওয়ার সময় তা থেকে রাস্তায় মাটি পড়ে। তাতে এমনিতেই পথদুর্ঘটনার প্রবণতা বাড়ে। তার উপর সেই মাটিতে জল পড়লে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে পথ। এ দিকে প্রায়শই অভিযোগ ওঠে, মাছের গাড়ি যাওয়ার সময় রাস্তাগুলির ভয়াবহ অবস্থা করে রেখে যায়। মাছের জলে সেই সব মাটিমাখা রাস্তা আরও বিপজ্জনক হয়ে যায়। প্রায়শই ছোট-বড় দুর্ঘটনাও ঘটে। এ বার দিঘায় পথদুর্ঘটনা এড়াতে বিশেষ উদ্যোগ রামনগর-১ ব্লক প্রশাসনের। দিঘার বিভিন্ন থানার পুলিশ এবং দিঘা-মোহানা ফিশারম্যান অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন ও শঙ্করপুর ফিশারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করল তারা।

    রামনগর-১ ব্লকের বিডিও পূজা দেবনাথ জানান, পূর্ব ভারতের অন্যতম মৎস্য সরবরাহের জায়গা দিঘা মোহানা। এখান থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মাছ যায়। আর দূরপথে মাছ নিয়ে যেতে তাতে বরফের ব্যবহারও করা হয়। মাছ টাটকা রাখতে এই ব্যবস্থা। কিন্তু দেখা যায়, মাছের গাড়ি যেতে না যেতেই রাস্তা জলে ভিজে যায়। মাছের জলে পিচ্ছিলও হয় সেই পথ।

    বিডিও জানান, আগেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বরফ গলে জল যাতে রাস্তায় না পড়ে, তার জন্য গাড়িতে অন্য ব্যবস্থা রাখতে হবে। কিন্তু সে নির্দেশ ঠিক করে পালন করা হয় না। ফলে দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। আর রাস্তাও বেহাল হচ্ছে। এ বার ব্লক প্রশাসন সাফ জানিয়ে দিল, নির্দেশিকা না মানলে তারা আইনি পদক্ষেপ করবে।

    প্রতিদিন দিঘার বিভিন্ন রাস্তায় প্রচুর মাছের গাড়ি যায়। মোহানা যাওয়ার রাস্তায় মাছের গাড়ির যাতায়াত যেহেতু বেশি, এই রাস্তা আরও বিপজ্জনক। সেখানে জল পড়ে দুর্ঘটনাপ্রবণতা বাড়ে। এতে পর্যটকদেরও যাতায়াতে সমস্যা হয়। সাবধান হলে সকলেরই সুবিধা, তাই এবার কড়া হাতে তা দেখছে প্রশাসন।

    দিঘা ফিশারম্যান এন্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস বলেন, ‘আমরা সমস্ত ব্যবসায়ীদের জানিয়েছি, যাতে প্রশাসনের নির্দেশিকা মানা হয়। আমরাও আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে দেখব, যাতে বৈঠকে নির্দেশিকা গুলি মেনে চলা হয়।’

  • Link to this news (এই সময়)