এক নাবালককে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যার অভিযোগ দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর থানা এলাকায়। মৃতের নাম দেবজিৎ মণ্ডল (৮)। নিজের ছেলেকে খুন করে থানায় গিয়ে আত্মসমপর্ণ করেন ওই নাবালকের মা। খুনের অভিযোগে মহিলা তনুজা মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার খেয়াদহের মৌলিহাটির বাসিন্দা প্রসেনজিৎ মণ্ডলের স্ত্রী তনুজা মণ্ডল। দম্পতির দুই ছেলের মধ্যে ছোট ছেলের মৃত্যু হয়েছে কয়েক বছর আগেই। বড় ছেলে দেবজিৎ স্থানীয় একটি স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ত। নাবালকের বাবা পেশায় মাছ ব্যবসায়ী প্রসেনজিৎ সকালে কাজে বেরিয়ে যান।
বাড়িতে ছেলেকে নিয়ে একাই ছিলেন তনুজা। স্থানীয়দের দাবি, নাবালকের ঠাকুমা কাছেই অন্য একটি বাড়িতে থাকেন। সকালে ১০টা নাগাদ আসেন নাবালকের বাড়িতে। ঘরে ঢুকে নাতির খোঁজ শুরু করেন। তাঁর দাবি, সেই সময় বাড়িতে ছিল না দেবজিতের মা। বৃদ্ধা প্রতিবেশীদের কাছে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। প্রতিবেশীরা নাবালকের খোঁজ শুরু করে। কিছুক্ষণ পরে খাটের নিচ থেকে নাবালকের কম্বল চাপা দেওয়া দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘ঘরে ওর মা ছিল না। আমরা ছেলেটার গায়ের কম্বল সরিয়ে দেখি ওর গলায় কাপড় জড়ানো ফাঁস দেওয়ার দাগ। হাত পা ঠান্ডা হয়ে গিয়েছিল।’
অভিযুক্ত নাবালকের মা তনুজা সেই সময়ে থানায় গিয়ে আত্মসমপর্ণ করেন। ইতিমধ্যেই ওই মহিলাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় অভিযুক্ত মহিলা বলেন, ‘ছেলে দুষ্টুমি করছিল বলে মাথায় রাগ চড়ে যায়। তাই ওকে মেরেছি’। বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপার পলাশ চন্দ্র ঢালি জানিয়েছেন, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ও গোটা ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।