মাঘের শীতে বাজারের ব্যাগে ফুলকপি, গাজর, পেঁয়াজকলি তো থাকেই। তবে চিরাচরিত সবজি কি এ বার একঘেয়ে লাগছে? নতুন কিছু পাতে পড়লে মন্দ কি! ডাক্তাররাই বলেন, সুস্থ থাকতে শাকের কোনও বিকল্প নেই। ভিটামিন, আয়রন পেতে শাক রাখতেই পারেন প্রতিদিনের লাঞ্চে। তবে ‘পাক চই’ শাকের নাম শুনেছেন? চিনের এই সবজি এখন চাষ হচ্ছে মালদাতে। বাজারে চাহিদা রয়েছে বলেও দাবি চাষিদের।
পাক চই কী?
পাক চই মূলত শীতকালীন সবজি। শীতের সবজি চাষের দেশীয় পদ্ধতিতেই বিদেশি এই শাক চাষ করা যায়। চিনের ‘পালং শাক’ বলা হয় এই সবজিকে। দেখতে এবং খেতে পালং শাকের মতোই। কয়েক বছর ধরে মালদায় এই চিনে সবজির চাষ করছেন অনেকেই।
চাষিরা কী বলছেন?
চাষিরা জানাচ্ছেন, এই বছরের শীতে ‘পাক চই’-এর চাষ কিছুটা বেড়েছে। পুরাতন মালদার একাধিক কৃষক এ বছর পালং প্রজাতির এই চিনের ‘পাক চই’ চাষ করছেন। এমনকী বাজারে বিক্রিও হচ্ছে। রেস্তরাঁগুলিতেও চাহিদা রয়েছে এই বিদেশি পালং শাকের। বাজারে চাহিদা থাকায় চিনে পালং চাষে ঝুঁকছেন অনেকেই।
কবে চাষ শুরু?
মালদায় প্রথম পাক চই চাষ করে ব্যাপক লাভবান হন কৃষক মনতোষ রাজবংশী। বছর দুয়েক আগে তিনি পরীক্ষামূলকভাবে এই চাষ শুরু করেছিলেন। সাফল্য মেলায় গত বছর থেকে বাণিজ্যিকভাবে পাক চই চাষ শুরু করেন। বর্তমানে জেলার একাধিক কৃষক বাজার ধরতে এই শাক চাষে উদ্যোগী হয়েছেন। এক চাষি বলেন, ‘আগে খুব একটা এই শাক চাষ হতো না। তবে আমাদের পালং শাকের মতো একই পদ্ধতিতে চাষ হওয়ায় অনেকেই এখন পাক চই চাষ করছেন।’
শাকের দাম কেমন?
গত বছরের তুলনায় দামও কিছুটা কমেছে চিনের পালং শাকের। গত বছর পর্যন্ত এই শাকের পাইকারি দর ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি থাকলেও এ বছর ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।