ছেলেকে খুন করে আত্মসমর্পণ মায়ের! নরেন্দ্রপুরের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য এলাকায়
প্রতিদিন | ১৯ জানুয়ারি ২০২৫
দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: ছেলেকে খুন করে থানায় আত্মসমর্পণ মায়ের! শনিবার সকালে নরেন্দ্রপুরের ঘটনায় পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে মাকে। নাবালকের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বারুইপুর পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না এলে বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়। অভিযুক্ত মহিলাকে রবিবার বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে।
ঘটনাস্থল নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার খেয়াদহের মৌলিহাটি। এই এলাকার বাসিন্দা প্রসেনজিৎ মণ্ডল। স্ত্রী তনুজা ও দুই পুত্রসন্তানকে নিয়ে ছিল তাঁর সংসার। মাত্র দেড় বছর বয়সে ছোট ছেলের মৃত্যু হয়। তখনও মায়ের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। তবে তা আইন-আদালতের দুয়ার পর্যন্ত পৌঁছয়নি। তনুজা-প্রসেনজিতের বড় ছেলে দেবজিত মণ্ডল স্থানীয় প্রাথমিক স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। তিনজনের সংসার চলছিল ভালোই। শনিবার সকালে প্রসেনজিৎ মাছের ব্যবসার কাজে বেরিয়ে যান। বাড়িতে বড় ছেলেকে নিয়ে একাই ছিল তনুজা। সকাল ১০টা নাগাদ প্রসেনজিতের মা তাঁদের বাড়িতে আসেন। তিনি নাতির খোঁজ শুরু করে। সেসময় বাড়িতে ছিল না তনুজা। দেবজিতের ঠাকুমা প্রতিবেশীদের কাছেও জিজ্ঞাসা করেন। কিন্তু কেউ কিছু বলতে পারেননি।
এরপর দেবজিতের জেঠু এসে খোঁজ শুরু করেন। অনেকক্ষণ না পেয়ে ঘরের দরজা খুলে ঘরের মধ্যে ঢোকেন। দেখতে পান, খাটের মধ্যে কম্বল চাপা অবস্থায় পড়ে রয়েছে দেবজিৎ। তার গলায় ফাঁসের চিহ্ন! সঙ্গে সঙ্গে ঘটনার কথা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। শোরগোল পড়ে যায়। এমন সময় অভিযুক্ত মা তনুজাকে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। তনুজাকে দেখেই এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। এলাকার মহিলারা তাঁর উপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর পুলিশ জানায়, তনুজা নিজে থানায় গিয়ে ছেলেকে খুনের কথা কবুল করেছে। আত্মসমর্পণ করেছে। তাই তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত।