সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: বিভিন্ন খাদান, পুকুর থেকে দেদারে অবৈধভাবে চলছে মাটি কেটে নেওয়া। বিভিন্ন এলাকার ইটভাটায় ট্রাক্টর করে সেই মাটি চলে যাচ্ছে। একাধিকবার এই বিষয়ে অভিযোগ উঠলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে তেমন কোনও ব্যবস্থা চোখে পড়েনি বলে বাসিন্দাদের দাবি। এবার নদিয়ার শান্তিপুর থানার পুলিশ বেআইনি মাটি কাটা বন্ধ করতে অভিযান শুরু করল।
উল্লেখ্য, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবৈধভাবে মাটি কাটা, জলাশয় বুজিয়ে দেওয়া নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন। তারপর থেকেই গা ঝাড়া দিয়ে ওঠে রানাঘাট জেলা পুলিশ। এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী এই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাঁদেরও চিহ্নিত করা হবে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
শনিবার মেথিরডাঙা, শান্তিপুর, ফুলিয়া-সহ আরও বেশ কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালানো হয়। ওইসব এলাকায় সকাল থেকে মাটি কাটার কাজ চলছিল। গাড়ি বোঝাই মাটি যাচ্ছিল বিভিন্ন জায়গায়। পুলিশ যেতেই কাজ বন্ধ করে এলাকা থেকে পালান মাটি কাটার সঙ্গে যুক্ত থাকা কর্মীরা। মাটির গাড়ি ফেলে পালান চালকরাও। শান্তিপুর থানার পুলিশ এদিন মাটি বোঝাই পাঁচটি গাড়ি আটক করে। এই অভিযান আগামী দিনে আরও চলবে বলে জানানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, রানাঘাট জেলা পুলিশের প্রত্যেকটি থানায় এই অভিযান এখন থেকে চলবে। বহু ফাঁকা প্রান্তর, জমির মাটি কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ছোটখাটো মজে যাওয়া পুকুর থেকেো মাটি তোলা হচ্ছে অবলীলায়। ফলে সেসব জায়গা অত্যন্ত গভীর হয়ে যাচ্ছে। দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কাও থাকছে প্রতি মুহূর্তে। জানা গিয়েছে, ওইসব এলাকায় এক গাড়ি মাটি ১২০০ থেকে ১৬০০ টাকা দরে বিক্রি হয়। কখনও সেই দাম আরও বেশিও থাকে।