অর্ণব আইচ ও গোবিন্দ রায়: ৫ মাসেরও বেশি সময় পর অবশেষে বিচারের একটা ধাপ সম্পূর্ণ হল। শনিবার আর জি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। সোমবার সাজা ঘোষণা হবে শিয়ালদহ আদালতে। মেয়ের উপর ঘটে যাওয়া নৃশংস ঘটনায় বিচারের অন্তত একটা ধাপ পেরতে পারলেন বলে মনে করছেন নির্যাতিতার বাবা। এদিন আদালত চত্বরেই কান্নাভেজা গলায় বাবা বললেন, বিচারের প্রথম সিঁড়ি পেরিয়ে দ্বিতীয় সিঁড়িতে পা রাখলাম। বিচারক আমাদের বিষয়টি ভালোভাবে দেখেছেন। তাঁকে ধন্যবাদ জানাই। তবে লড়াই চলবে আমাদের।” সিবিআই তদন্তের প্রতি আগেও একাধিকবার অনাস্থা প্রকাশ করেছিল নির্যাতিতার পরিবার। সঞ্জয় দোষী হওয়ার পরও তা থাকছে বলে জানিয়েছেন বাবা।
গত ৯ আগস্ট ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয় সঞ্জয় রায়। পরবর্তীতে সিবিআই তদন্তভার হাতে পেয়ে সঞ্জয়কে হেফাজতে নেয় এবং তদন্তের পর তাকে দোষী সাব্যস্ত করে শিয়ালদহ আদালত। যদিও সিবিআই তদন্ত নিয়ে পরিবারের অনাস্থা রয়েছে। বাবা, মায়ের দাবি, সঠিক পথে তদন্ত হচ্ছে না। এনিয়ে তাঁরা নিজেরাও আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। তা সত্ত্বেও শনিবার যখন সেই সিবিআইয়ের দেওয়ার নথির উপর ভিত্তি করেই আদালত সঞ্জয়কে দোষী বলে ঘোষণা করল, তখন আর নিজেদের আবেগ সামলে রাখতে পারেননি অভয়ার বাবা। কান্নাভরা গলায় বিচারকের সামনেই বললেন, ‘‘আপনার উপর আস্থা রেখেছিলাম। বিচারের প্রথম সিঁড়ি পেরতে পারব বলে মনে হয়েছিল। তার পূর্ণ মর্যাদা রেখেছেন, আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।’’
আদালত থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েও একই বক্তব্য ছিল বাবার। বলেন, ”দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আমরা বিচারব্যবস্থার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। কিন্তু মেয়েকে তো আর ফিরে পাব না। তাই চাই, দোষী সঞ্জয়ের সর্বোচ্চ সাজা হোক। বিচারক জানিয়েছেন, মৃত্যুদণ্ড সর্বোচ্চ শাস্তি। আমরা মৃত্যুদণ্ড চাই। তবে আমাদের লড়াই চলবে।”