• প্রিন্সিপালের ঘরের সামনে ঘেরাও, কর্মসূচি রাতে অবরোধ তুললেন মেডিক্যাল পড়ুয়ারা 
    বর্তমান | ১৯ জানুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, মেদিনীপুর: জটিলতা বেড়েই চলেছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। শনিবার চিকিৎসক পড়ুয়ারা মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপালের ঘরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন। এরফলে সমস্যায় পড়েন কলেজের প্রিন্সিপাল মৌসুমি নন্দী, এমএমভিপি ইন্দ্রনীল সেন সহ স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এদিন রাতেই অবরোধ তুলে নেয় বিক্ষোভকারী পড়ুয়ারা।   অপরদিকে, এদিন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদার আসেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তিনি স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন। প্রসূতি মৃত্যু সম্পর্কে বিশদে তিনি তথ্য সংগ্রহ করে রিপোর্ট পেশ করবেন বলে জানা গিয়েছে। তবে এদিনও মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার গাফিলতি নিয়ে অভিযোগ তুলল এক প্রসূতির পরিবার। কেশপুরের বাসিন্দা প্রসূতির পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, শনিবার ভোর থেকেই প্রসূতি ও তাঁর সন্তানদের অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। চিকিৎসকরা দিনভর মিটিংয়ে ব্যস্ত থাকায় ঠিকমতো পরিষেবা মিলছে না। এদিন দুপুরে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এমএমভিপি ইন্দ্রনীল সেনকে বিষয়টি জানান প্রসূতির পরিজনরা। এরপর ব্যবস্থা নেওয়ায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।  এদিন প্রসূতির পরিবারের সদস্য আব্দুল রহমান বলেন, গতকাল বিকেলে প্রসূতিকে ভর্তি করা হয়েছিল। ভোরে তিনি সন্তান প্রসব করেন। দু’জনের অবস্থা খুব খারাপ। অথচ দেখছি চিকিৎসকরা মিটিংয়েই ব্যস্ত। তাই প্রতিবাদ জানিয়েছি। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত, প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসকদের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই সিআইডি ও স্বাস্থ্যবিভাগের প্রাথমিক তদন্তের পর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ১২ জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। শনিবার আরও একজন চিকে সাসপেন্ড করা হয় বলে খবর। ফলে সংখ্যাটা দাঁড়ায় ১৩। এর জেরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা কর্মবিরতির কথা ঘোষণা করলেও পরে পিছু হটতে বাধ্য হন। তাঁরা সরাসরি কর্মবিরতি না করলেও বেশিরভাগ জুনিয়র চিকিৎসক অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দেন। জানা গিয়েছে, দুপুরে মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপালের ঘর সংলগ্ন সমস্ত সদর দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। মেডিক্যাল কলেজের এমএসভিপি বাইরে যেতে চাইলেও তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা। এক জুনিয়র চিকিৎসক বলেন, স্যালাইনে সমস্যা ছিল। সেটা ঢাকতেই জুনিয়র চিকিৎসকদের বলির পাঁঠা বানানো হচ্ছে। জুনিয়র চিকিৎসকরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। পরিকল্পনা করে চক্রান্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি আমাদের অনেক পড়ুয়া বড় আকারে আন্দোলন করতে ভয় পাচ্ছে। কারণ বড় পদক্ষেপ নিতে পারে প্রশাসন। এদিন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য বলেন, রিপোর্ট জমা দেব। সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখলাম। এভাবে পড়ুয়াদের সাসপেন্ড করা যায় না। এছাড়া স্যালাইন কোয়ালিটি টেস্টের জন্য পাঠানো হয়নি বলেই জেনেছি।  
  • Link to this news (বর্তমান)