• ফসল বাঁচাতে হাতে অস্ত্র শুকদেবপুরের কৃষকদের
    বর্তমান | ১৯ জানুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, কালিয়াচক: সীমান্তে কাঁটাতার না থাকায় প্রায় ভারতীয় ভূখণ্ডে চলে আসে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা। লাখ লাখ টাকা খরচ করে উৎপাদন করা ফসল প্রায়‌শই কেটে নিয়ে চলে যায় তারা। বিএসএফ সীমান্ত পাহারার কাজে থাকলেও ফসল কেটে নিয়ে যাওয়া থামাতে পারেনি। কারণ মালদহের শুকদেবপুরের উন্মুক্ত সীমান্ত পেরিয়ে রাতের অন্ধকারেই মুলত বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা ফসল কেটে নিয়ে পালিয়ে যায়। মাঝেমধ্যে এপারের কৃষকরা তাড়া করলেও জিরো পয়েন্ট পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ছে দুষ্কৃতীরা। এবার ফসল বাঁচাতে মরিয়া মনোভাব স্থানীয় কৃষকদের। ইতিমধ্যেই প্রমীলা ও পুরুষদের আলাদা বাহিনী করে পাহারা দেওয়া শুরু করেছেন তাঁরা।  লক্ষ্য ফসল কেটে নিয়ে যাওয়া আটকানো। এই কারণে হাতে হাঁসুয়া, লাঠি, বল্লম তুলে নিয়েছেন ভারতের কৃষকরা। স্থানীয় পীযূষ মণ্ডল বলেন, ভারতের মাটিতে ঢুকে ফসল কেটে নিয়ে যাওয়া নতুন নয়। প্রতিবাদ করলেই আমাদের মারধর করা হয়। তারপরেও আমরা চাষ করি পেটের তাগিদে। প্রচুর খরচ করলেও অধিকাংশ ফসল‌ আমরা বাড়ি নিয়ে আসতে পারি না বাংলাদেশের দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্যে।  ফসল বাঁচাতে এবার হাতে অস্ত্র তুলে নেওয়া ছাড়া আর কোনও রাস্তা নেই।   


    আরেক বাসিন্দা জয়ন্ত মণ্ডলের কথায়, কাঁটাতার দিতে বিজিবি বাধা দেওয়ার পর উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আপাতত কাজ বন্ধ রয়েছে। তারপর থেকে ওই এলাকায় ভারতীয়দের সাবধানে যেতে বলেছে বিএসএফ। কেননা বাংলাদেশের দুষ্কৃতীরা যে কোনও সময় আক্রমণ করতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। শুকদেবপুরের জিরো পয়েন্ট লাগোয়া এলাকায় জমি রয়েছে জয়দেব মণ্ডলের। তাঁর অধিকাংশ ফসল কেটে নিয়ে গিয়েছে বাংলাদেশের দুষ্কৃতীরা। শনিবার সকালে দুষ্কৃতীরা ফের তাঁর ফসল কাটলে প্রতিবাদ করতেই  মারধর করা হয়। এবার এই অত্যাচারের একটা বিহিত চাইছেন শুকদেবপুরবাসী।
  • Link to this news (বর্তমান)