• চাঁচলে মরা মহানন্দায় আবর্জনা ফেলায় বেহাল নিকাশি, সংস্কার হয়নি তিন বছর
    বর্তমান | ১৯ জানুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, চাঁচল: অনুষ্ঠান বাড়ির থার্মোকলের প্লেট ও বস্তা ভর্তি আবর্জনা ফেলা হচ্ছে মূল নিকাশি নালায়। ফলে দিন দিন বুজে যাচ্ছে মালদহের চাঁচল সদরের মরা মহানন্দা নদী। মুখ থুবড়ে পড়েছে নিকাশি ব্যবস্থা। পঞ্চায়েতের নজরদারির অভাব ও সংস্কার না হওয়ায় মরা মহানন্দার এমন বেহাল অবস্থা বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েতের শিল্প ও পরিকাঠামো সঞ্চালক অমিতেষ পান্ডে বলেন, চাঁচলে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প চালু হয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে আবর্জনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। কিছু মানুষের অসচেতনতার জন্যই মরা মহানন্দায় আবর্জনা জমা হচ্ছে।


    আবর্জনার ফেলার জন্য নিকাশি ব্যবস্থা খারাপ হলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে পঞ্চায়েত সমিতি। চাঁচল সদরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া মরা মহানন্দা দিয়ে পঞ্চায়েতের ১০টি গ্রামের জল নিকাশি হয়। প্রায় তিন বছর সংস্কার না হওয়ায় নদীর বিভিন্ন অংশ বুজে গিয়েছে। তবুও স্টেডিয়াম ও বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় কিছু মানুষ বস্তা ভর্তি আবর্জনা ফেলছেন। শুধু তাই নয়, বিয়ে বাড়ি আবর্জনাও নদীতে ফেলা হচ্ছে। যার জেরে জল থমকে রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা প্রদীপ রায়ের অভিযোগ, পঞ্চায়েতের নজরদারির অভাবেই কিছু মানুষ ইচ্ছেমতো আবর্জনা ফেলছেন। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে  বাসিন্দাদের। নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক করতে দ্রুত পদক্ষেপ করা হোক। 


    চাঁচলের ঝন্টু রবিদাসের কথায়, মরা মহানন্দা এলাকার নিকাশির একমাত্র লাইফ লাইন। বর্ষায় এলাকা জলে ডুবে যায়। তিনবছর সংস্কারের কাজ করা হচ্ছে না। জনপ্রতিনিধিরা শীতঘুমে চলে গিয়েছেন। মহানন্দার হাল ফেরাতে সংস্কার এবং দখলদারদের সরানোর দাবি তুলছেন বাসিন্দারা। এপ্রসঙ্গে চাঁচলের বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ বলেন, সংস্কারের জন্য সেচ দপ্তরে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। ইঞ্জিনিয়াররাও মরা মহানন্দা পরিদর্শন করে গিয়েছেন। দ্রুত কাজ শুরু হবে।


    চাঁচল-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অঞ্জনা সাহা জানিয়েছেন, কেউ যাতে মরা মহান্দায় আবর্জনা না ফেলেন সেজন্য সচেতন করতে এলাকায় মাইকিং করার পরিকল্পনা রয়েছে। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)