• সিতাই বিধানসভার কর্মিসভাতেও নেই ‘কাকা-ভাইপো’, নাম না করে আক্রমণ
    বর্তমান | ১৯ জানুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, দিনহাটা: শনিবার সিতাই বিধানসভার কর্মিসভা হল দিনহাটার আটিয়াবাড়িতে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ, কোচবিহারের সাংসদ জগদীশ চন্দ্র বসুনিয়া, তৃণমূলের জেলা সভাপতি অভিজিত দে ভৌমিক, সিতাইয়ের বিধায়ক সঙ্গীতা রায় সহ অনেকেই সভায় হাজির ছিলেন। তবে দিনহাটার মতো সিতাইয়ের কর্মিসভাতেও গড়হাজির ছিলেন ‘কাকা-ভাইপো’। কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও এনবিএসটিসি’র চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায়কে  নাম না করে আক্রমণ করেন সাংসদ। দলছুট হাতি বলে কটাক্ষ করেন তাঁদের। উদয়ন গুহও রবিবাবুকে তীব্র আক্রমণ করেন। 


    সাংসদ জগদীশ বসুনিয়া বলেন, কিছু হাতি দলছুট হয়ে লোকালয়ে চলে এসে তাণ্ডব চালায়। বনদপ্তরে খবর দিলে কুনকি হাতি নিয়ে এসে ঘুমপাড়ানি গুলি করে বাগে এনে দলে ফেরান হয়। তেমনি কিছু নেতা দলছুট হয়েছে। তাঁরা যাতে লোকালয়ে ঢুকে কোনও অশান্তি পাকাতে না পারে, দলের কর্মীদের সেবিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। অনেক নেতাই নিজেকে লিডার অফ দা লিডার ভাবে। ২৪ সালের লোকসভায় দল আমাকে প্রার্থী করলে সেই সিদ্ধান্ত ভুল ছিল বলে দাবি করেছিলেন ওই নেতা। তিন লক্ষ ভোটে আমি নাকি হারব বলে জানান। অথচ সেই নেতাই ২১ সালে জেতা আসনে প্রার্থী হয়ে ১৮ হাজার ভোটে পরাজিত হন। মানুষ ওদের মুখে ঝামা ঘষে দিয়েছে। 


    মন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, কাচের ঘরে বসে ঢিল ছুড়ছেন লম্বা নেতা। চোরের মায়ের  বড় গলা নয়, লম্বা গলাও হয়। লোকসভা নির্বাচনের পরে ঘরে ঢুকে যাওয়া বিজেপিকে বাইরে বের করে আনতে চাইছে ওরা। বিজেপি নেতাদের দরজা খুলে দিনহাটার মাটিতে নিয়ে আসার চেষ্টা করবে যারা, তাদের সাথে কোনও  নেই সম্পর্ক নেই। 


    কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, আমন্ত্রণ না থাকায় কর্মিসভায় যাইনি। সভায় নেতাদের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কোন কিছু বলব না। এনিয়ে পার্থপ্রতিম রায়কে একাধিকবার ফোন করা হয়েছিল। তিনি ফোনের উত্তর না দিলেও ফেসবুকে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘তোমায় যখন কেউ গালমন্দ করবে, তীব্র ভাষায় আক্রমণ করবে, তখন তুমি জানবে তোমার চলার পথ সঠিক এবং তুমি ভীষণ প্রাসঙ্গিক।। হয় তোমাকে তারা ঈর্ষা করছে না হয় ভয় পেয়েছে।’
  • Link to this news (বর্তমান)