• ‘আমাকে মিথ্যা ফাঁসানো হয়েছে’
    বর্তমান | ১৯ জানুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ধর্ষণ, ধর্ষণের জেরে মৃত্যু ও খুন—এই তিন ধারায় সঞ্জয়কে দোষী হিসেবে রায় শোনাচ্ছেন বিচারক। উল্টোদিকে অপরাধী সঞ্জয় রায়ের চোখেমুখে অনুশোচনার লেশমাত্র নেই। বরং রায়ে ক্ষোভ উগরে দিল ধর্ষক-খুনি। চিৎকার করে উঠল, ‘সবটাই আপনি দেখেছেন। আমার গলায় রুদ্রাক্ষের মালা আছে। ধর্ষণ, খুন করলে ঘটনাস্থলেই মালা ছিন্নভিন্ন হয়ে যেত। আমাকে মিথ্যা ফাঁসানো হয়েছে।’ এখানেই উঠছে প্রশ্ন। ৬৬ দিনের শুনানিপর্বে একবারের জন্যও এই রুদ্রাক্ষের মালার প্রসঙ্গটি তুলল না কেন সঞ্জয়?


    আর জি কর মামলার বিচারক অনির্বাণ দাস প্রত্যুত্তরে বলেন, ‘এই ঘটনায় বেশ কিছু তথ্য-প্রমাণ ও সাক্ষ্য আদালতে জমা দিয়েছে সিবিআই। তার ভিত্তিতে আমার মনে হয়েছে, সবটাই ওঁরা প্রমাণ করেছেন। সেজন্যই ধর্ষণ ও খুনে আপনাকে দোষী সাব্যস্ত করেছি।’ এরপরেই ভরা এজলাসে চিৎকার করে ওঠে সঞ্জয়। আদালতের সামনে তার বিস্ফোরক মন্তব্য, ‘জজ সাহেব আমি খুন করিনি। একজন আইপিএস সবটা জানেন। কেন তাঁকে ছাড়া হবে?’ বিচারক বলেন, ‘সোমবার আপনার বক্তব্য শুনব।’ এদিন ৭ মিনিটের মধ্যে সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক। সঞ্জয়ের পক্ষের আইনজীবী কবিতা সরকারের প্রশ্ন, ‘মৃতার ভিসেরা রিপোর্ট কোথায় গেল? তাঁর ল্যাপটপ, মোবাইলের ফরেন্সিক রিপোর্টও পেশ করা হল না কেন?’
  • Link to this news (বর্তমান)