রায়পুর: রাস্তা নির্মাণে ব্যাপক আর্থিক কেলেঙ্কারির পর্দাফাঁস করেছিলেন। এর জেরেই খুন করা হয়েছিল সাংবাদিক মুকেশ চন্দ্রকরকে। ‘ডাবল ইঞ্জিন’ রাজ্য ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলার এই ঘটনায় দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছিল। ওই হত্যাকাণ্ডের তদন্তের সূত্র ধরে সাসপেন্ড করা হল রাজ্যের পূর্ত দপ্তরের দুই আধিকারিককে। আর কে সিনহা ও জি এস কোদোপি নামে ওই দুই অফিসারের বিরুদ্ধে রাস্তা নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। মৃত সাংবাদিকের প্রতিবেদনেও উল্লেখ ছিল অভিযুক্তদের নাম। শুক্রবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরের তরফে এই সাসপেন্ডের নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সাংবাদিক খুনে ইতিমধ্যেই মূল অভিযুক্ত ঠিকাদার সুরেশ চন্দ্রকর ও তাঁর তিন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। তারপরই বিজাপুরের ওই ৫২.৪০ কিলোমিটারের রাস্তার কাজে দুর্নীতির বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসে পূর্তদপ্তর। উপ মুখ্যমন্ত্রী অরুণ সাও জানিয়েছেন, রাস্তার কাজে ব্যাপক অনিয়ম লক্ষ্য করা গিয়েছে। এক্ষেত্রে সরকারি অর্থের অপচয়, ভুয়ো তথ্য পেশ, ঠিকাদার সংস্থার সঙ্গে যোগসাজশ করে বড়সড় দুর্নীতি করা হয়েছে। তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে তৎকালীন একজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার বি এল ধ্রুব (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত), সাব ডিভিশনাল অফিসার আর কে সিনহা, সাব ইঞ্জিনিয়ার জি এস কোদোপি সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দেওয়া হয়। সেইসূত্রেই সিনহা ও কোদোপিকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।