এই সময়: বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করতে গিয়ে কলকাতা পুরসভার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ সংস্থার কর্মীরা নাগরিকদের ‘ব্ল্যাকমেল’ করে বেশি টাকা চাইছেন বলে অভিযোগ সামনে এল। গত পুর–অধিবেশনে এই অভিযোগ করেন খোদ শাসকদলেরই প্রবীণ কাউন্সিলার তথা ১৩ নম্বর বরোর চেয়ারপার্সন রত্না শূর। এই অভিযোগ খানিকটা অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায় সংশ্লিষ্ট বিভাগের মেয়র পারিষদ দেবব্রত মজুমদারের কাছে।
রত্নার অভিযোগ ছিল, তাঁর ১১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ব্যানর্জিপাড়ার একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কারের ক্ষেত্রে এই ঘটনা ঘটেছে। ওই পাড়ার এক বাসিন্দা তাঁকে জানান, সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কারের জন্যে তিনি পুরসভার কাছে আবেদন করে তিন হাজার টাকা জমা দিয়েছিলেন। এর কয়েক দিনের মধ্যে যাঁরা এই কাজের দায়িত্বে থাকেন—তাঁরা একটি গাড়ি নিয়ে বাড়িতে হাজির হন। কাউন্সিলারের দাবি, গাড়িটি ছিল পুরসভার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ঠিকাদার সংস্থার। ওই ঠিকাদার সংস্থার কর্মীরা বাড়ির মালিকের কাছে আরও আট হাজার টাকা দাবি করেন।
রত্নার বক্তব্য, একটি সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কারের জন্যে মোট এগারো হাজার টাকা দিতে হবে জেনে ওই বাড়ির বাসিন্দারা গাড়িটি ফেরত পাঠিয়ে দেন। এর পর কাউন্সিলারের সঙ্গে ওই বাড়ির লোকেরা দেখা করে জানান, সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কারের জন্যে তাঁরা আর পুরসভার মুখাপেক্ষী হয়ে থাকেননি। ঠাকুরপুকুরের কবরডাঙা থেকে সংশ্লিষ্ট কাজের কর্মী এনে মাত্র দু’হাজার টাকায় সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করিয়েছেন।
এই প্রসঙ্গের পাশাপাশি রত্না পুর–অধিবেশনে বলেন, ‘যাঁরা গলির ভিতরে থাকেন, অপরিসর রাস্তার কারণে তাঁদের বাড়ির কাছে সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কারের গাড়ি পৌঁছতে পারে না। তাই এই সব রাস্তার সঙ্গে মানানসই বর্জ্য–নিষ্কাশনের অত্যাধুনিক গাড়ির ব্যবস্থা করে পুরসভা শহরকে দূষণমুক্ত করার ব্যবস্থা করুক। পাশাপাশি, এই কাজে নাগরিকদের আর্থিক বোঝাও লাঘব করা হোক।’ প্রবীণ কাউন্সিলারের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মেয়র পারিষদ দেবব্রত মজুমদার বলেন, ‘১১৫ নম্বর ওয়ার্ডে কেন এমন ঘটল, তা অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে। ওই কাজের দায়িত্বে যে সংস্থা ছিল, তাদের প্রতিনিধিদেরও ডাকা হবে। আগামী দিনে বর্জ্য–নিষ্কাশনে কলকাতা পুরসভা আরও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারেরও পরিকল্পনা করেছে।’