বিচারাধীন বন্দি সাজ্জাক আলম কী ভাবে আগ্নেয়াস্ত্র পেয়েছিল? তা নিয়ে উঠেছিল একাধিক প্রশ্ন। এই নিয়ে আলাদা করে তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশ। এ বার সাজ্জাককে আগ্নেয়াস্ত্রের জোগান দেওয়ার ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে গোয়ালপোখর থেকে হজরত শেখ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, হজরতই সাজ্জাককে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়েছিল। শুধু তাই নয়, ২ পুলিশকর্মীকে গুলি করার পর পালিয়ে যাওয়ার জন্য সাজ্জাককে বাইকের ব্যবস্থা করে দিয়েছিল হজরতই, প্রাথমিক অনুমান পুলিশের।
সাজ্জাকের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র পৌঁছে দেওয়ার নেপথ্যে হজরতের পাশাপাশি আব্দুল হোসেনেরও প্রত্যক্ষ যোগাযোগ থাকতে পারে বলে সন্দেহ পুলিশের। ২০১৯ সালে অনুপ্রবেশ ও বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অভিযোগে গোয়ালপোখর থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছিল।
উল্লেখ্য, গত বুধবার ইসলামপুর মহকুমা আদালত থেকে প্রিজন ভ্যানে জেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল খুনের মামলায় অভিযুক্ত বিচারাধীন বন্দি সাজ্জাককে। সেই সময়ে প্রস্রাব করার জন্য রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করাতে অনুরোধ করে সে। তারপর আচমকাই পুলিশকর্মীদের লক্ষ্য করে লুকিয়ে রাখা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি করে সে। সাজ্জাকের গুলিতে জখম হয়েছিলেন রায়গঞ্জ থানার অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর নীলকান্ত সরকার ও কনস্টেবল দেবেন বৈশ্য। ঘটনাস্থল ছেড়ে পালায় সাজ্জাক।
বিচারাধীন বন্দি সাজ্জাক কোথা থেকে পিস্তল পেল? তা নিয়ে ওঠে একাধিক প্রশ্ন। এই ঘটনায় আলাদা করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। সেই ঘটনাতেই এ বার একজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।
প্রসঙ্গত, সাজ্জাককে ধরার জন্য ২ লক্ষের পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল পুলিশ। রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার আহত দুই পুলিশকর্মীকে দেখতে মাটিগাড়ায় গিয়ে জানিয়েছিলেন, পুলিশের উপর কোনও ‘ক্রিমিনাল’ গুলি চালালে, চার গুণ গুলি চলবে। কড়া হাতে এই ধরনের হামলার মোকাবিলা করা হবে বলেও জানান রাজীব কুমার।
শনিবার সকালে বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে সাজ্জাক। সেই সময়ে পুলিশ তাকে সারেন্ডার করার কথা বললেও শোনেনি সে। বরং পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে। পাল্টা গুলি চালায় পুলিশও। পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় সাজ্জাকের। এই ঘটনায় রাজ্য পুলিশের এডিজি (আইন শৃঙ্খলা) জাভেদ শামিম জানিয়েছিলেন, অপরাধীদের বিরুদ্ধে পুলিশ জ়িরো টলারেন্স নীতি নেয়। পুলিশের উপরে হামলা হলে কী ভাবে তা ট্যাকল করতে হয় তা পুলিশ জানে। ডিজি থেকে কনস্টেবল সকলেই প্রশিক্ষিত।