এই সময়, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার: হাতির তাণ্ডবে লাটে উঠল ক্লাস। শনিবার শহরে হাতির হানার খবর মিলতেই পড়ুয়াদের নিরাপত্তার কথা ভেবে ফালাকাটা পুরসভার ১৮টি ওয়ার্ডের মোট ৩০টি প্রাথমিক স্কুলের পঠনপাঠন বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফালাকাটার বিদ্যালয় পরিদর্শক রাজা ভৌমিক বলেন, ‘গত ৯ ডিসেম্বর শহরে হাতির হানায় অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। আমরা আর কোনও ঝুঁকি নিতে চাই না। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
শনিবার ভোরের আলো ফোটার আগেই তিন দাঁতাল শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের আশুতোষ পল্লিতে একবার চক্কর কেটে চলে আসে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের খলিসামারিতে। সেখানে বিঘার পর বিঘা আলু খেত নষ্ট করে তারা। একটি হাতি রেললাইন পার করে ক্ষীরেরকোটের দিকে গিয়ে ভেঙে দেয় একটি পিকআপ ভ্যান। আক্রমণ করে একাধিক গবাদিপশুকে। তার পর উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেললাইনের ধারে একটি ঝোপের মধ্যে ঘাপটি মেরে বসে থাকে সে। অন্য দু’টি হাতির একটিকে বেলা ১১টা নাগাদ জঙ্গলে ফেরায় বন দপ্তর। আরও একটি হাতি আটকে পড়ে হরিনাথপুরের লোকালয়ে। সেই কারণে ফালাকাটা পুরসভা এলাকায় প্রাইমারি স্কুলে ছুটি দেওয়া হয়।
হাতি দেখতে আসা উৎসুক মানুষের ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশ ও বনকর্মীদের। জলদাপাড়া বনবিভাগের ডিএফও পারভিন কাসোয়ান বলেন ‘দলছুট হাতিদের মধ্যে বখাটেপনা কাজ করে। নিরাপত্তার অভাব মনে করলেই ওরা অনিষ্ট করতে শুরু করে। সবাইকে সাবধানে থাকার অনুরোধ করছি।’
অন্য দিকে, শনিবার সকালে মাথাভাঙার ফুলবাড়ির লোকালয়ে দাপিয়ে বেড়াল তিনটি হাতি৷ খবর পেয়ে এলাকায় আসেন মাথাভাঙা রেঞ্জের বনকর্মীরা৷ সকালে প্রায় ঘণ্টা তিনেক ধরে তারা তছনছ করে একাধিক আলুর খেত। রাস্তায় থাকা একটি টোটো উল্টে দেয় তারা। কোচবিহারের ডিএফও অসিতাভ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, সকালের কুয়াশায় দিক ভুল করে জলদাপাড়া থেকে হাতিগুলো লোকালয়ে চলে এসেছিল৷’