এই সময়, ভাঙড়: এর আগে মিলেছিল বি++ স্বীকৃতি। আর এ বার মিলল এ গ্রেড। বহু বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা ভাঙড় মহাবিদ্যালয় ন্যাক–এর বিচারে এ গ্রেড পেল গত বৃহস্পতিবার। যা নিয়ে হইচই শিক্ষা মহলে। বেশ কিছু বিষয়ের উপরে সমীক্ষা চালিয়ে এই শিরোপা মিলল ভাঙড় কলেজের।
জানুয়ারির ৬ ও ৭ তারিখ ন্যাক কর্তৃপক্ষ ভাঙড় কলেজ পরিদর্শনে এসেছিলেন। সেই টিমে দিল্লি, তেজপুর এবং মুম্বইয়ের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ছিলেন। একাধিক বিষয়ের উপরে পর্যবেক্ষণের পর বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে বিচারকদের কাছ থেকে অবশেষে এ গ্রেড পেল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় মহাবিদ্যালয়। যা রাজ্যের খুব কম সরকারি কলেজে আছে।
কলেজের অধ্যক্ষ বীরবিক্রম রায় বলেন, ‘বিষয়টি মোটেই সহজ ছিল না। গত কয়েক বছর ধরে আমরা কোয়ালিটির উপরে গুরুত্ব দিয়েছি। তারই ফল এই পুরস্কার।’ যে কলেজের শিক্ষিকাকে তৃণমূল বিধায়ক আরাবুল ইসলাম একসময় জগ ছুড়ে মেরে কুখ্যাত হয়েছিলেন, সেই কলেজের এমন স্বীকৃতিতে গর্বিত কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি বাহারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আরাবুল ইসলাম, জগ ছোড়া কাণ্ড এখন অতীত। এটা ভাঙড়বাসীর জয়। কলেজের একজন প্রাক্তন ছাত্র, বর্তমান সভাপতি হিসাবে আমি গর্বিত।’
১৯৯৭ সালে এই কলেজের পথ চলা শুরু। বর্তমানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এই কলেজের ছাত্র সংখ্যা প্রায় সাত হাজার। ইউজিসি স্বীকৃত ১৭ জন শিক্ষক–সহ মোট ৫৮ জন শিক্ষক রয়েছেন। সেই পঠন পাঠনের গুণগত মান, কলেজের পরিকাঠামো, প্লেসমেন্ট, অ্যাকাউন্টস, পরীক্ষার ফলাফল সব কিছুর উপরে ভিত্তি করে কলেজকে এই স্বীকৃতি দিয়েছে ন্যাক। এর আগে ২০১২ সালে কলেজের তৎকালীন সভাপতি আরাবুল ইসলাম এক শিক্ষিকাকে মিটিং চলাকালীন জলের জগ ছুড়ে মারায় খুব হইচই হয়েছিল। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত পিছিয়ে পড়া এলাকায় ভাঙড় কলেজ যে স্বীকৃতি আদায় করেছে তা অত্যন্ত গর্বের বলে মনে করছেন কলেজের শিক্ষিকা মালিকা সেন।