আজকাল ওয়েবডেস্ক: নিজের বাড়িতেই, খাটের নীচে কম্বলে মোড়া বছর আট-এর দেবজিত মণ্ডলের দেহ উদ্ধার হয় শনিবার। ঘটনায় শুরু থেকেই অভিযগের আঙুল ছিল তার মায়ের দিকে। মা নিজে থানায় আত্মসমর্পণও করেন। রবিবার সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় নিয়ে আসা হয় অভিযুক্ত তনুজাকে। সংবাদ মাধ্যমের সামনে, নিজের ছেলেকে খুনের কথা স্বীকার করে নেন তিনি। রবিবারই আদালতে তোলা হবে তাঁকে। রবিবারই ময়নাতদন্ত হবে দেবজিতের।
নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার খেয়াদহের মৌ লিহাটির বাসিন্দা প্রসেনজিৎ মণ্ডল, তাঁর স্ত্রীর নাম তনুজা মণ্ডল। তাঁদের দুটি পুত্র সন্তান হয়। মাত্র ছ'-সাত মাস বয়সে ছোট ছেলের মৃত্যু হয়। তখনও মায়ের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। বড়ছেলের নাম দেবজিতের বয়স আট। সে স্থানীয় প্রাথমিক স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ত। শনিবার সকালে প্রসেনজিৎ ব্যবসার কাজে বেরিয়ে গেলে, বাড়িতে ছেলেকে নিয়ে একাই ছিলেন তনুজা। দেবজিতের ঠাকুমা সকালে ১০টা নাগাদ নাতির খোঁজ শুরু করেন। সেইসময় বাড়িতে ছিলেন না তনুজা। প্রতিবেশীদের কাছেও জিজ্ঞাসা করেন। খোঁজ শুরু হলে, খাটের মধ্যে কম্বল চাপা অবস্থায় উদ্ধার হয় দেবজিতের দেহ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসার সময় এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। এলাকার উত্তেজিত মহিলারা তাঁর উপর হামলে পড়ে। লাঠিচার্জ করে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। ছেলেকে খুনের অভিযোগ স্বীকার করেছিলেন মা, রবিবার জানালেন, চরম পদক্ষেপ গ্রহণের পিছনের কারণ।