নান্টু হাজরা: তরুণ ক্রিকেটারের রহস্যমৃত্যু। এসএসকেএম হাসপাতালে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন পরিবারের লোকজন। হাসিনাবাদের বাসিন্দা দেব ঘোষের রহস্যমৃত্যু। গতকাল সকালে বাড়ি থেকে বার হয়েছিল। তারপর তাঁকে মিনাখাঁ হাসপাতালে অসুস্থ অবস্থায় পাওয়া যায়। তারপর মিনাখাঁ থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে রেফার করা হয় তাঁকে। এবং সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। কীভাবে এই তরুণ ক্রিকেটার মিনাখাঁ হাসপাতালে পৌঁছল সেই নিয়েই ঘনীভূত হয়েছে নানান রহস্য।
জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতই দেব টালিগঞ্জে ক্রিকেট প্র্যাকটিস করার জন্য গিয়েছিল। গতকাল ভোর পাঁচটার সময় বাড়ি থেকে বেড়িয়ে ছিল সে। তারপর ৭টা নাগাদ শেষ পরিবারের সঙ্গে কথা হয় তাঁর। সেই মুহূর্তে সুস্থ অবস্থায় ছিল দেব। কিন্তু তারপর থেকে কোনরকমের যোগাযোগ করা যায় নি তাঁর সঙ্গে। পরিবারের তরফ থেকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। অভিযোগ রবিবার সকালে মিনাখাঁ এলাকায় অচৈতন্য অবস্থায় তাঁর দেহ পাওয়া যায়। এবং সঙ্গে সঙ্গে ভর্তি করানো হয় মিনাখাঁ হাসপাতালে। সেখানেই খবর পেয়ে পৌঁছে যায় পরিবারের লোক।
সেখানেই গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় দেবকে দেখতে পায় পরিবারের লোক। তৎক্ষণাৎ তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। এবং সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। যদিও পরিবারের অভিযোগ সাইন্স সিটির কাছে চার যুবক নাকি দেবকে ঘিরে ধরেছিল। এবং তাঁর ফোন ছিনিয়ে নেই তারপর দেবকে কোথাও নিয়ে চলে যায়। এমনই কথা জানায় দেব। ৯টার সময় অপেক্ষা করছিলেন দেবের বাবা। কিন্তু কোনভাবেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না তাঁকে। অবশেষে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় মেলে তার দেহ। পরিবারের অভিযোগ অপহরণ করা হয়েছিল দেবকে। যদিও পরিবারের তরফ থেকে সম্পূর্ণ ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন পুলিসের উপর। তাঁদের অভিযোগ, পুলিসের অসহযোগিতার কারণেই মৃত্যু হয়েছে ওই তরুণের। সেই কারণেই এসএসকেএম হাসপাতালের বাইরে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে পরিবার।
ইতিমধ্যেই ১৫ বছরের তরুণের দেহ এসএসকেএম হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সূত্র অনুযায়ী, এই তরুণ গত একবছর ধরে কলকাতাতে খেলতে আসত। পরিবারের বারবার অভিযোগ, পুলিসের তরফ থেকে কোনরকমের সহযোগিতা মেলেনি। পুলিস জোর করে সেই মৃতদেহ মর্গে নিয়ে যেতে গেলে পুলিসের সাথে রীতিমতো ধ্বস্তাধস্তি, হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছায়। কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। পরিবারের দাবি তাদেরকে না জানিয়ে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তারা সেই মৃতদেহ নিয়ে যেতে দেবে না। পুলিসের সাথে এই ধস্তাধস্তিতে মৃত নাবালকের ঠাকুমার আঙুলে আঘাত লাগে, রক্ত বের হয়। পুলিসের বিরুদ্ধে পরিবার তীব্র ক্ষোভ জানায়। যদিও এখনো পর্যন্ত কোনো অভিযোগ হয় নি।