• তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পদে আসছেন সামিরুল ইসলাম!‌ দলে কি ববির বিকল্প?
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৯ জানুয়ারি ২০২৫
  • দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু মুখ এবং রাজ্য রাজনীতির পরিচিত মুখ ফিরহাদ হাকিম ‌। তবে ইদানিং সংগঠনে তাঁর বিরুদ্ধে একটা অংশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে। খোদ সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রয়েছে দূরত্ব। কিন্তু এখন তিনি সিনিয়র মন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত কাছের সৈনিক ফিরহাদ হাকিম। মন্ত্রিসভার একাধিক পদ সামলেছেন ফিরহাদ। কলকাতা পুরসভার মেয়র তিনি। পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রীও তিনিই। সদ্য খোয়া গিয়েছে হিডকোর চেয়ারম্যান পদ। তবে দলের অন্দরে তিনি শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সদস্য। আবার দলের রাজ্য সংগঠনে সাধারণ সম্পাদক পদে আছেন ফিরহাদ। সেখানে এবার তাঁর বিকল্প তৈরি হতে চলেছে বলে সূত্রের খবর।

    কিছু বিতর্ক ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে থাকলেও দলের একনিষ্ঠ সৈনিক হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। সংগঠন ভালই বোঝেন। মেয়র এবং মন্ত্রীর পদ ভালই সামলাচ্ছেন। কিন্তু সংখ্যালঘু মুখ হিসাবে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি একটি মন্তব্যের পর থেকেই দলের অন্যান্য নেতারা বেশ ক্ষেপে ওঠেন। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তৃণমূল সুপ্রিমো ফিরহাদকে ধমক দেন। তারপরও একটা বিষয় স্পষ্ট, দলের সংখ্যালঘু সেল বা সম্পাদক পদে মুসলিম নেতারা থাকলেও সংগঠনের প্রথমসারিতে ফিরহাদ হাকিম ছাড়া আর কেউ পৌঁছতে পারেননি। এবার সব ঠিক থাকলে তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠনে সাধারণ সম্পাদক পদে আসতে চলেছেন রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম বলে সূত্রের খবর।


    সামিরুল ইসলাম একজন তরুণ তুর্কি নেতা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের খুব কাছের নেতা। কৃষক পরিবারের ছেলে এবং পেশায় রসায়নের অধ্যাপক। কিন্তু দক্ষ সংগঠক। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ই এই নেতাকে খুঁজে বের করেছিলেন। তারপর রাজ্যসভায় বেশ সফল এই নেতা সামিরুল। এবার তাঁকে সাধারণ সম্পাদক পদে নিয়ে আসা হচ্ছে। ফলে ববির বিকল্প যে তৈরি হতে চলেছে এই পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হলে সেটা পরিষ্কার হয়ে যাবে। যদিও দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাম্প্রতিক সময়ে বলেছেন, তৃণমূল কংগ্রেসে তিনিই শেষ কথা। আগামী ১০ বছর তিনিই দল চালাবেন। সেক্ষেত্রে সামিরুলকে সাধারণ সম্পাদক পদে তুলে আনার সিদ্ধান্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে সম্মতি যে আছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।

    ফিরহাদ হাকিম দলের সংখ্যালঘু মুখ হলেও বেশ কিছু ঘটনায় দেখা গিয়েছে সংকটের মুহূর্তে সংখ্যালঘুদের আস্থা ধরে রাখতে খুব একটা সফল হননি ফিরহাদ। সেটা আনিস খানের মৃত্যুই হোক বা বগটুই কাণ্ড। বরং বিতর্কিত মন্তব্য করে দলের অন্দে ফিরহাদ হাকিম বিরাগভাজন হয়েছেন। সেখানে হিন্দু নেতা হলেও সংখ্যালঘুদের সঙ্গে অনেক বেশি যোগাযোগ রেখে চলতেন মুকুল রায়। যখন তিনি সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিলেন। সেখানে সামিরুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক পদে তুলে আনা বেশ অর্থবহ। কারণ সামিরুল নতুন প্রজন্মের নেতা। সামিরুল দীর্ঘদিন সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে তিনি কাজ করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে সংগঠন নানা উদ্যোগ নিয়েছিল। সেই সংগঠনের নাম বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ। তাঁকে পরিযায়ী শ্রমিক বোর্ডের দায়িত্বও দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সংগঠনে সামিরুল ইসলাম।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)