• মোবাইল ছাড়া থাকতে পারে না? ভুলেও মাধ্যমিকে এই কাজটা করবেন না, হবে বিরাট বিপদ!
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৯ জানুয়ারি ২০২৫
  • মাধ্যমিক পরীক্ষায় কোনওভাবেই মোবাইল ব্যবহার করা যায় না। তারপরেও কেউ যদি মোবাইল নিয়ে যায় তাহলে কী হতে পারে?তবে এবার এনিয়ে কঠোরতম পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে পর্ষদ। বলা যায়, যে ধরনের চিন্তাভাবনা চলছে তা কার্যত ভাবতে পারবেন না। এক্ষেত্রে বিগত দিনে যে ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হত তার থেকেও বেশি পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলে চিন্তাভাবনা চলছে। 

    মোবাইল ফোন সহ কোনও মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ধরা পড়লে অন্তত তিন বছর তার পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়ার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছে পর্ষদ। এর ফলে অন্তত কোনও পরীক্ষার্থী কড়া পদক্ষেপের মুখে পড়তে হবে এই আশঙ্কায় মোবাইল নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে আসবে না। 

    আসলে মোবাইল না নিয়ে আসার ব্যাপারে একাধিকবার পর্ষদের তরফে ছাত্রছাত্রী সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও কেউ মোবাইল নিয়ে এলে ও তা ধরা পড়লে কঠোরতম ব্যবস্থা হতে পারে। 

    সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, পরীক্ষার হলে ঢোকার সময়ে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের শিক্ষকরা পরীক্ষার্থীর সঙ্গে মোবাইল আছে কি না তা পরীক্ষা করে দেখবেন। তা সত্ত্বেও কোনওভাবে চোখ এড়িয়ে মোবাইল নিয়ে কেউ ঢুকে পড়লে সেই ফোন জমা দেওয়ার শেষ বারের সুযোগ দেওয়া হবে। যিনি গার্ড দিচ্ছেন তিনি পরীক্ষা শুরুর আগে শেষ বারের মতো সতর্ক করে দেবেন। এরপরেও কেউ যদি ফোন জমা না দেয় ও পরীক্ষা শুরু হওয়ার পরে ফোন সহ ধরা পড়ে তাহলে সেই পরীক্ষার্থীর সমস্ত পরীক্ষা বাতিল করা হবে। এমনকী পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষাকেন্দ্রের অন্য কোথাও বা শৌচাগারে ফোন রেখে দিচ্ছেন কি না সেটাও জানতে হবে। 

    সেই সঙ্গেই এই ফোন সংক্রান্ত ব্যাপারে অভিভাবকদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। কারণ কারণ বিগত দিনেও এই ফোন সহ পরীক্ষার্থী ধরা পড়েছিল। আর তারপর তার ফোনের কললিস্ট পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছিল। তাতে দেখা গিয়েছিল যে ওই পরীক্ষার্থীর সঙ্গে তাদের অভিভাবকদের পরীক্ষার আগে কথা হয়েছে। অর্থাৎ অভিভাবকরা জানতেন তাদের সন্তানের কাছে মোবাইল রয়েছে। তারপরেও কেন সতর্ক করা হল না? সেক্ষেত্রে অভিভাবকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সেকারণে অভিভাবকদেরও এনিয়ে সতর্ক করা হলে। কারণ অভিভাবকরা সতর্ক না হলে সমস্যা বাড়তে পারে। 
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)