• ধারেকাছেও নেই বিরোধীরা, নন্দকুমার-তমলুকে পরপর সমবায় জয় তৃণমূলের
    এই সময় | ১৯ জানুয়ারি ২০২৫
  • কাঁথি সমবায় নির্বাচনে বিপুল জয় এসেছে আগেই। এ বার নন্দকুমার ও তমলুকের দুই সমবায় নির্বাচনেও জয়জয়কার রাজ্যের শাসক দলের। ধারেকাছেও আসতে পারল না বিরোধীরা। রবিবার নন্দকুমার ব্লকের দক্ষিণ নারিকেলদা-বেঙ্গিমুদিয়া সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি ও তমলুক ব্লকের চংরাকালাগন্ডা সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে জিতেই উচ্ছ্বাস তৃণমূল কর্মীদের।

    নন্দকুমারের দক্ষিণ নারিকেলদা- বেঙ্গিমুদিয়া সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির মোট আসন সংখ্যা ছিল ৫৫টি। যেখানে ৪৮টি আসন দখল করেছে তৃণমূল। বাকি ৭টি আসন দখল করেছে বিরোধী জোট প্রার্থীরা। এই সমবায় নারিকেলদা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত। যা বর্তমানে তৃণমূলের দখলে। সংশ্লিষ্ট সমবায়ও আগে তৃণমূলের দখলে ছিল। ৫৫টি আসনের মধ্যে ৭টি আসনে আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছিল তৃণমূল। আর একটি আসনে জোটের প্রার্থীর নমিনেশনে ত্রুটি থাকায় তা বাতিল হয়।

    সমবায়ের মোট ভোটার সংখ্যা ১৩৭৮। যার মধ্যে রবিবার ভোট পড়েছে ১২৫৪। দুপুর পর্যন্ত ভোট গ্রহণের পর বিকেলে ফলাফল ঘোষণা হতেই সবুজ আবিরে মেতে ওঠেন কর্মী সমর্থকরা। নন্দকুমার ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শিবশঙ্কর বেরা বলেন, ‘আগামী দিনে যেখানেই ভোট হবে, সেখানেই বিরোধীরা তৃণমূলের উন্নয়নের কাছে পরাস্ত হবে।’

    অন্যদিকে তমলুক ব্লকের শ্রীরামপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েত বর্তমানে বিজেপির শক্ত ঘাঁটি। সেই গ্রাম পঞ্চায়েতের চংরা কালাগন্ডা সমবায় সমিতির পরিচালক সমিতির নির্বাচনে বিপুল জয় পেল ঘাসফুল শিবিরে। এই সমবায়ের মোট আসন সংখ্যা ৯টি। যার মধ্যে তৃণমূল দখল করেছে ৬টি। বাকি তিনটি আসন গিয়েছে বিজেপির ঝুলিতে। গত ২৪ সালে এই সমবায়ের মেয়াদ শেষ হয়। এরপর ভোট ঘোষণা হতে তৃণমূল এবং বিজেপি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। তমলুক ব্লক তৃণমূলের সভাপতি অর্ণব চক্রবর্তী বলেন, ‘এর থেকে প্রমাণিত হয়ে গেল বিজেপির সঙ্গে মানুষ এখন আর নেই। ভোট হলেই তৃণমূলের পাশে আছে মানুষ।’ পাল্টা তমলুক সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সহ সভাপতি আশিস মণ্ডল বলেন, ‘ভোটার তালিকায় কারচুপি, প্রশাসকদের কাজে লাগিয়ে ভোটারদের ভয় দেখানোর ফলে এই ফলাফল। তার মধ্যেও বেশ কয়েকটি আসনে আমাদে প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন। এটাই আমাদের জয়।’

  • Link to this news (এই সময়)