প্রায় ২৪ ঘণ্টা হতে চলল। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ৭ জন জুনিয়র চিকিৎসকের সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবিতে অনড় তাঁরা। সাসপেনশন প্রত্যাহারের প্রস্তাব অধ্যক্ষের মাধ্যমে স্বাস্থ্য ভবনে পাঠানো হয়েছে। সূত্রের খবর, জুনিয়র ডাক্তারদের আবেদন গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখছে স্বাস্থ্য ভবন। রবিবারও অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
সাসপেনশন নিয়ে কোনও নির্দিষ্ট ‘বার্তা’ না আসায় রবিবার সন্ধ্যায় ফের জিবি মিটিং করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। বৈঠকে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে রোগী পরিষেবা কোনওভাবেই ব্যাহত বা বিঘ্নিত না করে অবস্থান বিক্ষোভ চলবে বলে জানিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। রবিবার রাতে সাংবাদিক বৈঠকে জুনিয়র ডাক্তাররা বলেন, ‘মানবিক সরকারের কাছ থেকে এখনও অবধি আমরা কোনওরকম আশ্বাস বা বার্তা পাইনি। তাই আমাদের অবস্থান বিক্ষোভ চলবে।…আমাদের দাবি একটাই সাসপেনশন প্রত্যাহার করতে হবে।’
রবিবার বিকেলে যদিও মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল মৌসুমী নন্দী বলেন, ‘আমি একটা চিঠি পাঠিয়েছি স্বাস্থ্য ভবনে। ওঁরা তো শিক্ষানবিশ চিকিৎসক। ওঁরা নিজেদের দায়িত্ব পালন করছিলেন।’
প্রসঙ্গত, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মামনি রুইদাস নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর পরেই বিতর্কের সূত্রপাত। নির্দিষ্ট কোম্পানির স্যালাইন নিয়ে অভিযোগ তোলা হয়। অন্যদিকে প্রসূতির অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের ‘গাফিলতি’র বিষয়টিও উঠে আসে। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য। মোট ১৩ জন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্ত চলেছে।