• 'শারিফ, মৌতৃষা…', সঞ্জয়ের সাজার আগে ২ ‘নাম’ নিয়ে আরজি কর কাণ্ডে বিস্ফোরক বাবা-মা
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২০ জানুয়ারি ২০২৫
  • আরজি কর মামলায় দণ্ডিত সঞ্জয় রায়কে কী শাস্তি দেওয়া হবে, তা সোমবার জানানো হবে। আর তার আগে দু'জনের নাম নিয়ে বিশেষভাবে সরব হলেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা-মা। সংবাদমাধ্যম এবিপি আনন্দের সাক্ষাৎকারে তাঁরা 'শারিফ হাসান' এবং ‘মৌতৃষা গড়াই’-র নাম করেছেন। তাঁদের দাবি, দু'জনের বিষয়ে জানতে পেরেই বারবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের কাছে জিজ্ঞাসাবাদের আর্জি জানিয়েছিলেন।

    তবে ওই দু'জনের বিরুদ্ধে ঠিক কী জানতে পেরেছিলেন, তা খোলসা করেননি নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা-মা। ওই প্রতিবেদনে মা দাবি করেছেন, গত ৯ অগস্ট যখন মেয়ের দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল, তখন আরজি কর মেডিক্যাল হাসপাতালে তাঁদের ‘পাহারা’ দিচ্ছিলেন শারিফ। তাঁর কথায়, ‘শারিফ হাসান যে ছেলেটা, সে পুরো নিজে স্বীকার করেছে যে সন্দীপ ঘোষের নির্দেশে আমাদের পাহারা দিচ্ছিল।’ আর সেইসঙ্গে নির্যাতিতার বাবা উল্লেখ করে ‘মৌতৃষা গড়াই’-র নাম।

    শুধু তাই নয়, গত ৮ অগস্ট যে চারজন তাঁদের মেয়ের সঙ্গে ছিলেন, তাঁরা পুরো ঘটনায় জড়িত বলে দাবি করেছেন বাবা-মা। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, নির্যাতিতার মা বলেছেন, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যে মিথ্যে কথা বলছে এবং যে চারজন আমার মেয়ের সঙ্গে ডিউটিতে ছিল, তারাও যে মিথ্যে বলছে, দেখেছে, সেটাই মিথ্যে।’ 


    কেন ‘মিথ্যে’ বলছেন, সেটাও ব্যাখ্যা করে ওই সাক্ষাৎকারে নির্যাতিতা চিকিৎসকের মা বলেছেন, ‘ ৯ টা ৩০ মিনিটে দেহ দেখেছে। এটা ওরা সবাই মিথ্যে বলছে। কেন সাজিয়ে-গুছিয়ে মিথ্যে বলছে…সুমিত রায় তপাদার…যে আমার মেয়ে।’


    নির্যাতিতার মায়ের সেই কথাটা শেষ হওয়ার আগেই বাবা বলেন, 'ওরা জড়িত বলেই মিথ্যে কথা বলছে। যে চারজন আমার মেয়ের সঙ্গে ছিল, তারা জড়িত। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দেওয়া হয়েছে, রাত ১২ টা থেকে সকাল ছ'টার মধ্যে হয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে আমার মেয়ের সঙ্গে যারা-যারা ছিল, তাদের তো সকলের আগে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত। কীভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে, সেটা সিবিআই জানে।'


    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে সেই উষ্মাপ্রকাশ করলেও বাবা-মায়ের আশা, তাঁরা যে যে বিষয় তুলে ধরেছেন, যে প্রশ্নগুলি করেছেন, সেগুলির উত্তর শিয়ালদা আদালতের রায়ের কপিতে থাকবে। শনিবার সঞ্জয়কে আরজি কর ধর্ষণ ও খুনের মামলায় দোষীসাব্যস্ত করার সময় বিচারক জানান, ১৬০ পৃষ্ঠার বেশি রায়ের কপিতে নির্যাতিতার পরিবারের তোলা কয়েকটি প্রশ্নের নির্দিষ্টভাবে উত্তর দেওয়া থাকবে। আর তারই অপেক্ষায় আছেন নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা-মা।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)