• পরকীয়া সন্দেহে অশান্তির জের, স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে মেরে থানায় স্বামী
    বর্তমান | ২০ জানুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, আরামবাগ: পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে। এমনই সন্দেহে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুনের পর থানায় আত্মসমর্পণ করল স্বামী। রবিবার সকালে আরামবাগের সালেপুরের ওই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিস জানিয়েছে, মৃতার নাম মিঠু দাস(৩৪)। এদিন সকালে ঘর থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করে আরামবাগ থানার পুলিস। বধূর বাপেরবাড়ির অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। আজ, সোমবার তাকে আরামবাগ আদালতে পাঠাবে পুলিস। অভিযুক্ত রণজিৎ পুলিসের কাছে দাবি করে, তার স্ত্রী একাধিক পুরুষের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িত ছিল। সেইসব নিয়ে অশান্তি হতো। শনিবার রাতে অশান্তি চরমে পৌঁছয়। তার জেরে ওই রাতে সে স্ত্রী-কে বাড়িতেই বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে। তারপর থানায় এসে নিজের দোষ কবুল করে। পুলিস জানিয়েছে, যে ঘরটি থেকে বধূর দেহ উদ্ধার হয়েছে সেটিকে সিল করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।


    আরামবাগের এসডিপিও সুপ্রভাত চক্রবর্তী বলেন, খুনের ঘটনায় পরকীয়া সম্পর্কের ইঙ্গিত মিলেছে। তবে আমরা সব দিক খতিয়ে দেখছি। 


    পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতা মিঠুর বাপেরবাড়ি গোঘাটের পাতুলসাড়া এলাকায়। প্রথমে তাঁর গোঘাটে দেখাশোনা করে বিয়ে হয়। তাঁদের একটি মেয়েও হয়। কিন্তু, সেখান থেকে বধূ চলে আসেন। ১৩ বছর আগে তিনি ভালোবেসে আরামবাগের সালেপুরের দাস পাড়ায় রণজিৎকে বিয়ে করেন। কিন্তু, তারপরও তিনি এক ব্যক্তির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়েছিলেন বলে দাবি। মাঝে তিনি ভিনরাজ্যেও চলে গিয়েছিলেন। রণজিৎ দিল্লিতে সোনার কাজ করত। মিঠু ও রঞ্জিতের বর্তমানে দুই ছেলে। এক ছেলের বয়স ১২ বছর। অন্যজন ছ’বছরের। সংসার হলেও স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্কের জেরে দম্পতির মধ্যে অশান্তি লেগে থাকত। দু’জনের মধ্যে অশান্তি থানা পর্যন্ত গড়ায়। কিন্তু, পরে মিটে যায়। একসঙ্গে সংসার করলেও অশান্তি থামেনি। ওই রাতে তা চরম আকার নিলে খুনের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। এদিন সকালে পুলিস শোয়ার ঘরের মেঝে থেকে বধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে। পুলিস মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। মৃতার বাপেরবাড়ির তরফে থানায় রঞ্জিতের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।  রণজিতের বউদি অনিমা দাস বলেন, আমরা কেউ জানতাম না। সকালে দেওর আমার স্বামীকে ঘটনার কথা জানিয়ে ছেলেদের দেখতে বলে। তারপর থানায় যাচ্ছে বলে চলে যায়। পরকীয়া সম্পর্কের জেরেই ওই ঘটনা ঘটেছে। তবে আমরা বেশি কিছু জানি না।
  • Link to this news (বর্তমান)