• বড়ন্তি পর্যটন কেন্দ্রে বন্ধ নবনির্মিত টয়লেট, বেড়াতে এসে সমস্যায় পর্যটকরা, ক্ষোভ
    বর্তমান | ২০ জানুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, রঘুনাথপুর: জেলা পরিষদের তরফ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে সাঁতুড়ির পর্যটন কেন্দ্র বড়ন্তিতে একটি উন্নতমানের টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে। পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পৃথক টয়লেটের ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু তা নির্মাণের এক বছর হতে চললেও সেটি এখনও তালাবন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। টয়লেটের চাবি খোলার জন্য ব্লক প্রশাসনের তরফ থেকে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ। ফলে বড়ন্তিতে পিকনিক করতে ও ঘুরতে আসা পর্যটকেরা বিশেষ অসুবিধায় পড়ছেন। অনেকে বাধ্য হয়ে পর্যটন কেন্দ্রের পাশের জঙ্গলে গিয়ে টয়লেট সারছেন। তাই ঘুরতে আসা সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে পর্যটকেরা টয়লেটটি চালু করার দাবি জানিয়েছে।


    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বড়ন্তির রামচন্দ্রপুর জলাধারকে কেন্দ্র করে পর্যটন কেন্দ্রটি গড়ে উঠেছে। বর্তমানে পর্যটকদের কাছে বড়ন্তি পর্যটন কেন্দ্রের গুরুত্ব বেড়েছে। তাই পর্যটন কেন্দ্রের গুরুত্বের কথা ভেবে একটি সরকারি গেস্ট হাউস নির্মাণ করা হয়েছে। পাশাপাশি ৩০টির বেশি বেসরকারি গেস্ট হাউস রয়েছে। বেশ কয়েকটি নতুন গেস্ট হাউস নির্মাণ করা হচ্ছে। তবে গেস্ট হাউস নির্মাণ করা হলেও পর্যটনকেন্দ্রের সৌন্দর্য দেখতে আসা ও পিকনিক করতে আসা সাধারণ পর্যটকদের জন্য টয়লেট ব্যবস্থা ছিল না। অসুবিধার কথা জানার পরেই জেলা পরিষদ টয়লেট নির্মাণে পদক্ষেপ গ্রহণ করে।


     সাঁতুড়ির বিডিও পার্থ দাস বলেন, বন্ধ থাকা টয়লেটটি খোলার বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। নির্মাণ হওয়া ওই টয়লেটের চাবি কাদের কাছে রয়েছে আমরা খোঁজ নিচ্ছি। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় মুরাডি পঞ্চায়েতের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।


    এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে পর্যটকদের কথা ভেবে সরকারি গেস্ট হাউসের কাছে পঞ্চায়েত সমিতির তরফ থেকে একটি টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে। তবে সেটি ব্যবহারের তেমন উপযোগী নয়। বর্তমানে পর্যটন কেন্দ্রের পশ্চিমে উন্নতমানের পুরুষ ও মহিলাদের জন্য একটি টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে। তবে সেটি তালা বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে।


    আসানসোল এলাকার একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ের তরফ থেকে পিকনিক করতে আসা ছাত্রীদের মধ্যেই রেহেনা খাতুন, সুলেখা জানা বলেন, টয়লেটটি তৈরির পর বন্ধ রয়েছে। ফলে আমরা অসুবিধায় পড়েছিলাম‌। যদিও একটি গেস্ট হাউস আমাদের টয়লেট যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছিল।


    প্রাক্তন জেলা পরিষদ সদস্য তথা সাঁতুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির নারী ও শিশুকল্যাণ দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ চৈতালি রায় বলেন, পর্যটন কেন্দ্রের টয়লেটের গুরুত্বের কথা ভেবে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা দিয়ে বড়ন্তি পর্যটন কেন্দ্রে টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে। নির্মাণকারী ঠিকাদার সংস্থার তরফ থেকে চাবি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের কাছে আবেদন জানাবো যাতে টয়লেটের পরিষেবা দ্রুত চালু করা হয়।
  • Link to this news (বর্তমান)