• মেদিনীপুর শহরের অবসর ক্লাবের সরস্বতী পুজো, এবার থিম ‘গ্রাম বাংলার লোকশিল্প’
    বর্তমান | ২০ জানুয়ারি ২০২৫
  • রাজদীপ গোস্বামী, মেদিনীপুর: এবছর সরস্বতী পুজোয় মেদিনীপুর শহরের অবসর ক্লাবের থিম ‘গ্রাম বাংলার লোকশিল্প।’ গোলকুয়াচক সংলগ্ন এই ক্লাবের সরস্বতী পুজোর ২৫বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে উন্মাদনা তুঙ্গে। রবিবার ক্লাবের তরফে খুঁটিপুজো করা হয়। ক্লাবের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা জানান, এবছর সরস্বতী পুজোর বাজেট প্রায় ৬ লক্ষ টাকা। জোরকদমে মণ্ডপ তৈরির কাজ চলছে। এছাড়া প্রায় ২২ফুট উচ্চতার সরস্বতী ঠাকুরের মূর্তি তৈরি হচ্ছে। ক্লাবের উদ্যোগে পুজোর দিন অর্থাৎ ২ফেব্রুয়ারি প্রায় তিন হাজার মানুষের জন্য অন্নভোগের আয়োজন করা হবে। পুজোর উদ্বোধনে বস্ত্র বিতরণের অনুষ্ঠান ছাড়াও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। এবছর রেকর্ড ভিড় হবে বলে আশাবাদী উদ্যোক্তারা। ক্লাবের সভাপতি জয়ন্ত মাইতি ও সহ সভাপতি অর্ণব দাসবর্মণ বলেন, পুলিস -প্রশাসন সহ ক্লাবের সকল সদস্যের সহযোগিতা ছাড়া এত বড় মাপের পুজো করা সম্ভব হতো না। এবছর হাজার হাজার মানুষের সমাগম হবে। 


    প্রসঙ্গত, ২০০০ সালে গোলকুয়া চক এলাকায় অবসর ক্লাবের পথচলা শুরু হয়। মূলত সদস্যরা অবসর সময় ক্লাবে এসে কাটাতেন বলে ক্লাবের এমন নামকরণ করা হয়। প্রথম দিকে কলেজ মাঠে ক্লাবের সদস্যদের আড্ডার আসর বসত। সমাজ কল্যাণের নানা দিক নিয়ে আড্ডা হতো। পরবর্তী সময়ে ক্লাবঘর তৈরি হয়। সূচনালগ্ন থেকেই ক্লাবের সদস্যরা বড় আকারের সরস্বতী পুজো করার সিদ্ধান্ত নেন। পুজো শুরুর কয়েক বছর পর থেকেই মানুষের মন জয় করে এই ক্লাব। বর্তমানে ক্লাবের সদস্য সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে থিমের পুজো করে জেলাবাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে ক্লাবের সদস্যরা। ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক রাজদীপ খান, সায়েম খান, সহ সম্পাদক হিমাদ্রি দত্ত বলেন, থিমের পুজো মানুষ পছন্দ করেন। জঙ্গলমহল তথা গ্রামবাংলার লোকজন শিল্পকে মানুষের সামনে তুলে ধরার জন্য এই থিম বেছে নেওয়া হয়েছে। 


    তবে শুধু পূজার্চনা নয়। এই ক্লাবের সদস্যদের উদ্যোগে ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়। এছাড়া করোনা পরিস্থিতির সময় প্রত্যন্ত এলাকায় ক্লাবের সদস্যদের উদ্যোগে মানুষের সুবিধার্থে প্রায় পাঁচ হাজার পরিবারের হাতে কাঁচা সব্জি তুলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি মানুষের সুবিধার্থে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেন ক্লাবের সদস্যরা। এমনকী ক্লাবের ২৫জন সদস্য ওড়িশা রাজ্যের বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনার সময়ও এলাকায় গিয়ে মানুষের জন্য রক্তদান করেছেন। ক্লাবের সদস্য অতনু দে, অভিনন্দন ভট্টাচার্য বলেন, মানুষের পাশে থাকাই আমাদের মূলমন্ত্র। কোনও মানুষ সমস্যায় পড়লে ক্লাবের সদস্যরা ঝাঁপিয়ে পড়েন।
  • Link to this news (বর্তমান)